মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার কারণেই বর্তমান সরকার স্বৈরাচারী তকমা পেয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আয়োজক সংগঠন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন আমরা ক্ষুব্ধ যে আওয়ামী লীগের আজকের সরকার শুধু ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য সারা বিশ্বে, বাংলাদেশকে স্বৈরাচারী একটি দেশে পরিণত করেছে। কোনো কোনো মন্ত্রী বলেছেন, তাদের যে স্বৈরাচার বলা হয়েছে, এটা ভিত্তিহীন। আমি বলতে চাই যে, যারা একটি সরকার পরিচালনা করে জনগণের ভোট ছাড়া, তাহলে এটা কীভাবে গণতান্ত্রিক সরকার হয়। এটা অবশ্যই স্বৈরাচারী সরকার। গায়ের জোরে আপনারা সরকারে আছেন, অতএব স্বৈরাচারী সরকার। এটা মুক্তিযুদ্ধের চৈতনা ছিল না।
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া প্রসঙ্গে ড. মোশাররফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সরকার এই আনন্দ-উল্লাস করছে। কারণ উন্নয়নশীল দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করাসহ আরো ছয় বছর অপেক্ষা করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদন্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না।
ড. মোশাররফ বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার যে ধরনের পরিকল্পনা করেছে, সেই ধরনের নির্বাচন এ দেশে হতে দেয়া হবে না। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের আচরণ দেখে ভবিষ্যতে কী হবে তা জনগণই ঠিক করবে।
সরকারের সব ষড়যন্ত্র একটি একটি করে বিএনপি ব্যর্থ করে দিচ্ছে দাবি করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে সরকার ভেবেছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় নানারকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে। এই জন্য আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের হাতে হাতে লাঠি ও পেট্রল বোমা দিয়ে মোড়ে মোড়ে বসিয়ে রেখেছিল। তাদের বলা হয়েছিল, বিএনপি একটি গাড়ি ভাঙলে তোমরা ১০০টি গাড়ি ভাঙবে। আমরা তাদের সেই ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছি। আমরা তাদের ফাঁদে পা দিই নাই। এরপরে আপনাদের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, আমরা দুই থেকে তিনদিন হরতাল দেব- আর আপনারা সেই হরতালে ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন। এটাতেও আপনারা সফল হতে পারেন নাই।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর