নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুর মাছঘাটে এই সময়টায় সাধারণত এত বেশি ইলিশ আসে না। তবে চলতি বছরটা ব্যতিক্রম বলতে হয়। বিপুল পরিমাণ রুপালি মাছ আসছে আড়তে। এতে জেলেদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মনেও আনন্দের জোয়ার দেখা যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, গত সপ্তাহ থেকেই মাছঘাটে প্রচুর ইলিশ আসছে। চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, আড়ত জুড়ে ইলিশ আর ইলিশ। বড় বড় আকারের এসব ইলিশ দেখে অনেকেরই না কেনা পর্যন্ত মন ভরছে না।
চাঁদপুর ছাড়াও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা, চরফ্যাশন, দৌলতখান, হাতিয়া, রামগঞ্জ, শরীয়তপুর ও নোয়খালীর জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে প্রতিদিন চাঁদপুর আড়তে মণে মণে ইলিশ আসছে। এসব ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করে পৌঁছানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
জেলেরা জানায়, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে তাদের জালে। দিন-রাত পরিশ্রম করে তারা যাচ্ছেন নদীর গভীরে।
ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকার করে ঘাটে ফিরছেন ভরপুর আনন্দ নিয়ে। ইলিশ বিক্রির টাকা দিয়ে তারা পরিশোধ করছেন মহাজনের দাদনের টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নদ-নদীর পানি প্রবাহের তারতম্যের কারণে ইলিশ ধরা পড়ার মৌসুমও অনেকটা বদলে গেছে। এ কারণে জেলার পদ্মা-মেঘনায় ভরা মৌসুমেও তেমন ইলিশের দেখা মেলেনি। তাই হয়তো এই অসময়ে চাঁদপুর নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে।
সরবরাহ বাড়লেও পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম এখনো কমেনি। দেড় কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৯০০ টাকায়। আর এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত। স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল হাজী বলেন, রোজা বলে মাছের দাম একটু বেশি। তিনি জানান, এখানকার বড় সাইজের ইলিশ চলে যায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায়।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ