নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের সময় দুই খণ্ড করে শিশুকে মেরে ফেলার ঘটনায় হাসপাতালটির পরিচালক ও কুমিল্লার সিভিল সার্জনসহ সাতজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৪ এপ্রিল আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাদেরকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
শনিবার (২৪ মার্চ) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের সময় চিকিৎসক এক নবজাতককে দুই খণ্ড করেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী শাগুফতা তাবাসসুম আহমেদ রবিবার বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে এই আদেশ দেন আদালত।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আবারও কুমিল্লায় প্রসূতির পেটে নবজাতকের মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই প্রসূতির জরায়ু কেটে অপারেশন করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জুলেখা বেগম নামের ওই প্রসূতি গত এক সপ্তাহ ধরে সন্তান ও শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। এ খবর জানাজানি হলে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে ভিড় জমান। এ ঘটনায় হাসপাতালসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই প্রসূতির জীবন রক্ষার্থে অপারেশন করে নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন করে বের করা হয়েছে এবং জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর