নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের লিখিত ও ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রবেশ পদে এককালীন নিয়োগ দিতে বিধিমালা সংশোধন করেছে সরকার।
সংবিধানের ১৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শ করে বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪ সংশোধন করেছেন জানিয়ে শনিবার গেজেট প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রবেশ পদে এককালীন নিয়োগ দিতে বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
৩৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্যাডারে পাঁচ হাজারের মত চিকিত্সক নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পিএসসির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে।
সংশোধিত বিভিমালা অনুযায়ী, মেডিকেল সায়েন্স বা ডেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে ১০০ নম্বর; বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে ২০ নম্বর করে এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বর করে মোট ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর পিএসসি নির্ধারণ করবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৫০। লিখিত পরীক্ষা শুধু ঢাকায় হবে।
সাধারণত বিসিএসে ২০০ নম্বরের জন্য চার ঘণ্টার এবং ১০০ নম্বরের জন্য তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হয়।
সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ২০০ নম্বরের মৌখিকসহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় বসতে হয় সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের।
আর সাধারণ ক্যাডারের বাইরে অন্য কোনো ক্যাডারে পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।
সাধারণত লিখিত পরীক্ষার গড় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০ শতাংশ। আর মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ