আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নিয়ন্ত্রিত দ্বীপপুঞ্জের কাছ দিয়ে একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারের টহল দেয়ার ঘটনাকে ‘মারাত্মক উসকানি’বলে অভিহিত করেছে বেইজিং। চীন বলেছে, এ ধরনের সমারিক তৎপরতা চীনের ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা’র প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মাস্টিন শুক্রবার বিতর্কিত পানিসীমায় প্রবেশ করে। এ সময় দু’টি চীনা যুদ্ধজাহাজ মার্কিন ডেস্ট্রয়ারকে সতর্ক করে দেয়। ঠিক কোন পানিসীমায় এ ঘটনা ঘটেছে চীনা মন্ত্রণালয় তা জানায়নি। তবে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্চের মিসচিফ রিফের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যদিয়ে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার চলে গেছে। স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জকে চীনে নানশা নামে অভিহিত করা হয়।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের এই দ্বীপপুঞ্জ ও এর আশপাশের পানিসীমার ওপর বেইজিংয়ের সন্দেহাতীত সার্বভৌমত্ব রয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বেইজিংয়ের অনুমতি না নিয়ে ওই এলাকায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে আমেরিকা চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং সার্বিকভাবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করেছে।
চীন ও আমেরিকার মধ্যে যখন টানটান কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং দেশ দু’টি বাণিজ্য যুদ্ধের প্রাপ্তসীমায় পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তখন এ হুঁশিয়ারি দিল বেইজিং। খনিজ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সঙ্গে ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের সীমানা বিরোধ চলছে। এই বিরোধে চীন বিরোধী দেশগুলোর পক্ষ নিয়েছে আমেরিকা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি