স্বাস্থ্যডেস্ক:
দেশে অন্য সব রোগের মত হৃদরোগও বাড়ছে। তবে সমস্যা হলো হৃদরোগটা ধরা পড়ে একদম শেষ সময়ে। যখন হয়ত আর কিছুই করার থাকে না।
কাঁধে ব্যথা: যদি শরীরের উপরের অংশ বা কাঁধে অবিরাম ব্যথা বা অস্বস্তি রোধ করেন, তাহলে বুঝতে হবে হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে না। তাই শরীরের উপরের দিকে রক্ত সরবরাহ হতে পারছে না।
ক্ষুধা কমে যাওয়া : যখন আপনার হার্ট ভালোভাবে কাজ করবে না তখন ক্ষুধা কমে যাওয়া, বমি বামি ভাব দেখা দিতে পারে। পরিপাক তন্ত্রে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত না পৌঁছানোর কারণে এটা হয়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পায়ের গোড়ালি ফুলে যাওয়া: হৃদরোগের কারণে শরীরে এডেমা নামের তরল পদার্থ তৈরি হয়। এতে পায়ের গোড়ালি ফুলে উঠে। তাই খেয়াল রাখুন আপনার গোড়ালি ফুলেছে কি না।
মাথাব্যথা: মাথাব্যথা বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। তবে যদি দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে আপনি মাথা ব্যথায় ভোগেন, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এটি হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে।
পাকস্থলীতে ব্যথা: কিছু ক্ষেত্রে যখন কারও হৃদরোগ দেখা দেয়। তখন পাকস্থলীর ব্যথা সেই হৃদরোগের সংকেত হয়ে জানান দেয়।
কফ–কাশি: যদি শ্বাসনালীতে কোনো ধরনের ইনফেকশন ছাড়া দীর্ঘদিন কফ-কাশিতে ভোগেন। তাহলে সেটা হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
ক্লান্তি: বেশিরভাগ মানুষই কোনো না কোনো সময় ক্লান্তি বোধ করেন। বিষয়টি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে যদি প্রতিদিন বেশি মাত্রায় ক্লান্তি বোধ করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট শরীরের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারছে না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ