স্বাস্থ্য ডেস্ক:
আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। প্রতিবছর বিশ্বে ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় যক্ষ্মায়। তবে বাংলাদেশে এখন যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ। যদিও ৩৩ শতাংশ রোগী চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছেন।
গবেষকরা মনে করেন, দেশ যক্ষ্মামুক্ত করতে দরকার কার্যকরী ওষুধ। যা তৈরি করতে কাজ করছে ওষুধ কোম্পানিগুলো।আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসচেতনতা বাড়ায় যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তের হার আগের তুলনায় অনেক কমেছে। মাইকোব্যাকটেরিয়া টিউবারকুলসিস নামক ক্ষুদ্র সুক্ষ জীবানুর মাধ্যমে সংক্রমিত হয় যক্ষ্মা রোগ। মানবদেহের ফুসফুসই মূলত যক্ষ্মার জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয় যেটি ফুসফুসের যক্ষ্মা নামে পরিচিত। ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর কফ, হাচি, কাশি এবং কথা বলার মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবানু ছড়ায়। বিশ্বে ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই যক্ষ্মা।
২০১৭ সালে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন যক্ষ্মারোগী সনাক্ত হয়েছে এবং চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর শিশু যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার, ১৮৯ জন। এত সাফল্যের পরও ৩৩ শতাংশ রোগী চিকিৎসা সেবার আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আছে শিশুদের যক্ষ্মা সনাক্তের ক্ষেত্রে দুর্বলতাও। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসুচি বলছে, সচেতনতার অভাবেই অনেক রোগী চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
এই গবেষকের মতে দেশ যক্ষ্মামুক্ত করতে দরকার কার্যকরী ওষুধ। যা তৈরি করতে কাজ করছে ওষধ কোম্পানিগুলো। ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশে আনতে কাজ করছে সরকার।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর