২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৩

‘স্বৈরাচার’ দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ ২৪ মার্চ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি কালো দিন। ১৯৮২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় সৃষ্টি হয়। এ দিনে এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। সেই সঙ্গে কেড়ে নেয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বর্তমান গণবিরোধী মহাজোট সরকার দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে। দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। কালো দিবস (স্বৈরাচার এরশাদ কর্তৃক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল) উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কেড়ে নেয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেন। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং জনগণের ওপর নিপীড়ণ নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভীষিকাময় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিল।

অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে। তিনি বলেন, ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেই স্বৈরশাসকের সাথে মিশ্রিত হয়েছে ফ্যাসিবাদী চেতনার দল আওয়ামী লীগ। তারা মিলেমিশে বাংলাদেশকে এক পিশাচ দ্বীপে পরিণত করেছে এবং সেখানে জনগণের সকল অধিকারকে কেড়ে নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে ভয়াল দুঃশাসনের অচলায়তন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান এই গণবিরোধী মহাজোটের অবৈধ শাসনে পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে। দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি আজকের এই কালো দিনে দল, মত, শ্রেণী, পেশা নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান দুঃসহ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রামী অভিযাত্রায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল আহ্বান জানিয়ে বলেন, বারংবার অপহৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকারী জনগণের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকারের প্রতিহিংসার বিচারে বন্দীবস্থা থেকে মুক্ত করতে সার্বিক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সবশেষে যারা এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শরিক হয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :মার্চ ২৪, ২০১৮ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ