নিজস্ব প্রতিবেদক :
মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনা বীরপ্রতীক নুরজাহান কাঁকন বিবির মরদেহ সিলেট থেকে দোয়ারাবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স মরদেহ নিয়ে রওয়ানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একে এম মাহবুবুল হক। এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
কাঁকন বিবির মেয়ে সখিনা বিবি জানান, দোয়ারাবাজারে কাঁকন বিবির মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সর্বস্তরের মানুষ। পরে বিকাল ৪টায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে তাকে। বুধবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাঁকন বিবি। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার কাঁকন বিবি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
১৯৭১ সালে তিন মাস বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যান কাঁকন বিবি। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন এই বীর যোদ্ধা। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন। তবে তার এ বীরপ্রতীক খেতাব এখনো গেজেটভুক্ত হয়নি।
কাঁকন বিবির মেয়ে সখিনা বিবি বলেন, ‘সরকার বীরপ্রতীক খেতাব দিলেও তা গেজেটভুক্ত না হওয়ায় মায়ের মনে কষ্ট ছিল। বীর প্রতীকের সুবিধাও তিনি পাননি। আমাদের দাবি মায়ের এ সুবিধাগুলো যেন আমরা পাই এবং দ্রুত গেজেটভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে কাঁকন বিবির অবদান অনস্বীকার্য। একজন নারী হয়েও জীবনবাজি রেখে তিনি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। কাঁকন বিবির এ অবদান আমরা চিরদিন স্মরণ রাখবো।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর