আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তাইওয়ানকে শাসাতে তাইওয়ান প্রণালীতে বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে চীন। বিচ্ছিন্নতার কোনো চেষ্টা করলে ‘ঐতিহাসিক শাস্তির’ মুখোমুখি করা হবে- চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এমন হুশিয়ারির পর এ পদক্ষেপ নিল দেশটি। বুধবার পার্লামেন্টে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়েন তেহ-ফা এ তথ্য জানিয়েছেন। চীনা বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিংকে চোখে চোখে রাখতে তাইওয়ান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জাহাজ ও রণতরী পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাইওয়ান চীনের স্বায়ত্তশাসিত একটি অঞ্চল। এ দ্বীপ অঞ্চলটিকে চীনের থেকে পৃথক করেছে তাইওয়ান প্রণালী।
মঙ্গলবার চীনা সংসদের বার্ষিক অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে জিনপিং তাইওয়ানের উদ্দেশে এ যাবতকালের সবচেয়ে কঠোর সতর্কবার্তা দেন। তাইওয়ান চীনের অন্যতম স্পর্শকাতর বিষয় এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক সামরিক প্রান্ত। স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সাই ইং-ওয়েন ২০১৬ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চীনের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। চীন সন্দেহ করছে, সাই আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। অবশ্য সাই বলেছেন, ‘তিনি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চান এবং শান্তি নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
গত সপ্তাহে তাইওয়ান বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত একটি আইন চীনকে বিক্ষুব্ধ করেছে। এ আইনের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উভয় দেশে ভ্রমণের পাশাপাশি বৈঠকে বসতে পারবেন। মঙ্গলবার তিন হাজারের বেশি প্রতিনিধির সামনে শি বলেন, ‘মাতৃভূমির শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের’ জন্য চীন প্রচেষ্টা চালাবে এবং তাইওয়ানিজদের জন্য আরও বেশি কাজ করবে, যাতে তারা চীনের উন্নয়ন উপভোগ করতে পারে।
হুঙ্কারের সুরে জিনপিং বলেন, চীনকে ভাগ করার যেকোনো পদক্ষেপ বা কৌশল ব্যর্থ হতে বাধ্য এবং সেগুলো জনগণের ঘৃণা ও ইতিহাসের শাস্তির মুখোমুখি হবে।