২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:২৩

পরিণতিশীল সমাজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন

শিল্প ও সাহিত্য ডেস্ব:

Pessimism about humanity’s future is warrented because of humanity’s inability to control technology’ একুশ শতকের সমাজকে নিয়ে ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার এ ভাবনাটা অনেককেই এখন গোলমালে ফেলে দিয়েছে। কারণ, Ôthe end of history and the last man’- যদি হয় তবে মার্কসসিজম কী ভুল?

পুঁজিবাদের পরে তো সমাজতন্ত্রের একটি স্তরের কথা বলা হয়েছে- সেটি কী তবে আসছে না! ‘লিবারেল গণতন্ত্র’ই কী শেষ কথা! আবার সমাজতাত্ত্বিক ডানিয়েল বেল’র কথাটিও তো একইরকম, ‘the service sector generates more wealth than the manufacturing sector.’- সত্যিই তো জ্ঞান এখন অর্থপণ্য। এ পর্যন্ত এসে, এই একুশ শতকের সমাজে এখন অনেক কিছুই বিপদগ্রস্ত ও নাজুক মনে হয়, সংশয়াপন্নতাও সৃষ্টি করে। তাত্ত্বিকেরা তত্ত্বকথা ভাবছেন। কিন্তু তত্ত্ব তো জ্ঞানও। সেটা মানুষের নিকট থেকে আসবে, আসছেও। এবং মানুষই তা প্রয়োগের চিন্তা করবে। কিন্তু বাস্তবে তা কতোটা! মার্কিন সাহিত্যিক এলেন পোর কথায় ‘The glory that was Greece, and the grandeur that was rome’র সেই অনুভূতি আমাদের আছে তো! আর যদি তা না থাকে, তবে তার পরিণতি কী?

মানবমনে গর্ব ও অহংকার চাই, নইলে তার এগুনোর পথ প্রশস্ত হয় কী করে! ফুকুয়ামা কী তবে আমাদের আশঙ্কায় ফেলেছেন? সমাজে মানুষের বদল ঘটে কোন কারণে, মানুষ বদলায় কেন?

একটি সমাজের ভেতরে যদি প্রতিক্রিয়ার ক্ষোভ থাকে, তবে তো অন্য সমাজের বীজ রোপিত হয়। আর সেটি বিবর্তনের ধারাতেই সংঘটিত হয়। তাই এটা তো ঠিক যে, এই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতারই ফল। জীবনের চলতি ধারাক্রম থেকেই এর উদ্ভব ও আবিষ্কার। তা মানুষকে ক্রমশ গতিশীল করেছে। কর্মপ্রবাহে যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। জীবনের বেগ বৃদ্ধি করে এনেছে অধিক গতি। তাতে ভাবনার অর্গল গেছে খুলে।

সহজ করে সহজে সবটা করতে পারছে, বহুদূর পর্যন্ত। এই বহুদূর গমন থেকেই কি ফুকুয়ামা-কথিত ‘ইউনিভার্সাল’ বা ‘হোমোজিনিয়াস’ ব্যাপারটা এসেছে! আসলে সত্যিই কী তা কার্যকর করতে সক্ষম। সমাজের শেষ ধাপ অর্জনের প্রশ্নটি কী সে কারণেই এসেছে? তাহলে ফুকুয়ামার ‘এন্ড হিস্ট্রি’ নির্বিবাদী! অনেকটা আস্থায়ও আনা যায়। কারণ, বৈষম্য-বণ্টন ব্যবস্থা তো এখন দুর্বল।

একুশ শতকের ভার্চুয়াল বিশ্বে সতত মানুষ একাকী। গত শতকে দুটো বিশ্বযুদ্ধ মানবজাতিকে হুমকীর মুখে ফেলেছে। সেই হিরোশিমা-নাগাসাকির আতঙ্ক এখনও বিবেকবান মানুষকে তাড়া করে। পরমাণুযুদ্ধও এখন পারস্পরিক শক্তি প্রদর্শনের বিলোড়ন, হয়তো প্রযুক্তিযুদ্ধের অংশ সেটি। যা একুশ শতকে এই মনোপোলার বিশ্বে হয়ে ওঠার সর্বগ্রাসী শক্তির কথা বলছে। তাহলে, সমাজ এগিয়েছে কোথায়! আদৌ এগুতে পারবে কী।

বরঞ্চ পিছিয়েছে। আমরা আধুনিক সমাজের ভড়ং নিয়ে বসে আছি। আত্মাশূন্য মানুষ কর্পোরেট সমাজে ভর্তি।

দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এখনও অনেক বেশি। তাবৎ জনসংখ্যার অর্ধেক নারী কর্পোরেট চাপে বিবর্ণ, কণ্টকিত, প্রাণহীন- ফ্যাকাশে। এই সমাজ ব্যবস্থা যখন আগ্রাসী প্রযুক্তির ফাঁদে বন্দী তখন মানুষের শেষ কথাটি কী শেষ হয়ে এসেছে। একুশ শতকের সমাজ স্থূল, ভোগবাদী, কণ্টকিত, দুর্বিষহ, বিচ্ছিন্ন, স্বেচ্ছাচারি, একাকিত্ব, নৈরাশ্য ও নির্বীর্য। শুধু প্রযুক্তিই কী তবে এর জন্য দায়ী?

উত্তরে বলা যাবে, কেন্দ্র প্রযুক্তি, প্রযুক্তিকে ধরে অন্য স্তর বিন্যস্ত হচ্ছে। সেখানে পরিবার ভাঙ্গছে। হেজীমনি গড়ে উঠছে। মন ও মনস্তত্ত্ব ‘অকুপাই’ করতে থাকে দুর্বল কাউকে। দুর্বলতার স্বরূপ সমাজস্তরের নানা কাঠামোয় লগ্নীকৃত। এই লগ্নীকরণের কৃষ্টি একপ্রকার লেজুড়বৃত্তি। লেজুড়বৃত্তির ফলেই সত্তা বিচূর্ণিত। সত্তা অনর্থপ্রবণ।

অধিকারশীল নয়। ন্যায় ও নৈতিকতার সংশ্লেষে পরিপূর্ণ নয়। ব্যক্তিসত্তা অন্যের বিশেষ করে সবলের দ্বারা করায়ত্তপ্রবণ। সবল কোনো শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক নয়, তার গৌরব আভিজাত্যময় বা উদার নয়, সে ডোমিনেটপ্রবণ- আরোপকৃত, বিনিময়প্রবণ, বিনিয়োগের ধাঁচটা পছন্দ করে। আর্থিক দম্ভ ও ক্ষমতায়নের বৃত্তে তার ঔদার্য তৈরি।

এমনটা এ সমাজে বিপরীতত্মিকভাবে বাড়ছে। এই বাড়ার রেখাচিত্র সমান্তরাল এবং ব্যাস্তানুপাতিক হারে।

ফুকুয়ামা হেগেলিয় দ্বন্দ্বকে আমলে নিয়েছেন। কিন্তু উদার গণতন্ত্র ব্যবস্থাকেই সে দ্বন্দ্বের পর্যায় ও পরিণতি মনে করেছেন। বিষয়টি বেশ আকর্ষক। প্রসঙ্গত, ফুকুয়ামাকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করা নয়, যুক্তিতে উপগত করা এবং সেখানে একুশ শতকী সমাজের অবস্থানটা নির্ণয় করার কারণ, পণ্য যখন সর্বনিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র হয় তখন সমাজ বিকাশের স্তর অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যায়, তাতে পণ্যের স্বরূপ (যদিও তা সর্বদা নেতিবাদী তবে অধিক নেতিবাদী হলে) প্রতিক্রিয়াশীল পর্যায় স্পর্শ করলে, ‘লাস্ট ম্যানে’র চিন্তাকে বুঝি বাতিল করার অবকাশ থাকে না।

মার্কসের মৃত্যু ১৮৮৩। বস্তুবিশ্বের সর্বোচ্চ চমক তিনি দেখে যেতে পারেননি। তাঁর সময়, পৃথিবীতে অনেক বিস্ময়কর আবিষ্কার ঘটেছে। এনলাইটেনমেন্টের প্রভাবে তিনি সুউচ্চ ছিলেন। ক্রমবিকশিত জড়বিজ্ঞান তখন তেমন সাবালকত্ব পায়নি। তবে মুকুলিত হচ্ছিল। ফলে একজন সুদূরগামী সমাজচিন্তক হিসেবে তিনি ছুঁয়েছেন অনেককিছু। দার্শনিক বীক্ষণটিও ক্রিয়াশীল ছিল এবং সর্বোচ্চ পর্যায় অভিলক্ষ্যাধীন ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তাঁর চিন্তার প্রক্ষেপণ বহুগামীও হয়। সেখানে ¯œায়যুদ্ধ-পরবর্তী অভিপ্রায়টি কী?

সেটির উল্লেখও এখনকার সমাজতাত্ত্বিকগণ করেছেন। বোধ করি ‘লাস্টম্যান’ ধারণাটি সেখানেই বিবেচনা করবার বিষয়। ‘the end of the cold war and the subsequent increase in the number of liberal democratic states were accompanied by a sudden and dramatic decline in total warfare, interstate wars, ethnic wars, revolutionary wars, and a number of refugees and deplaced persons.’- এটি রাজনৈতিক বিষয় হলেও এর সামাজিক ফল অনুমেয়। যা একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রকেও বিবাদমান কওে তোলে।

আর তার ভেতরে ব্যক্তি হয়ে পড়ে অসহায়। চরম অস্থির মনস্তত্ত্বের জন্ম দেয়। নিরাপত্তার বলয় তুচ্ছ হয়ে পড়ে। ক্ষমতা কিংবা কর্তত্বের লেলিহান শিখা বিপরীত-ক্রম তৈরি করে। যেখানে ছোট-বড়, কেন্দ্র-প্রান্ত, সাদা-কালো, সক্ষম-অক্ষমের মধ্যে পার্থক্য গড়ে। যেটি প্রথমেই উল্লেখ করেছি ‘Pessimism about humanity’s future is warrented’। যা পুঁজিবাদের বিজয়ের অংশরূপে রোরুদ্যমান সমাজ সৃষ্টি করে। একুশ শতক কী এর বাইরে অন্য কিছু?

২.
কার্ল মার্কস যে তড়িৎবিশ্ব দেখেননি, যে সাইবার প্রতিক্রিয়ার সমাজ দেখেননি তাঁর সমাজ-দর্শনগত ব্যর্থতা ওই ফাঁদেই লুকানো। গৌরব তো কালে কালে কেন্দ্রীভূত নয়, বিকেন্দ্রীভূত। এর যোগ্যতা তো দূর-বীক্ষণের ধারায় আলোকিত। মার্কস কী তবে সেখানে নেই! তা মনে হয় না।

সেজন্যই এখনকার সমাজতাত্ত্বিকদের তত্ত্ব মার্কস দ্বারা প্রতিরোধী হচ্ছে, পরিশোধিত হচ্ছে। মিস-ইন্টারপ্রেটেশান অনুরুদ্ধ হচ্ছে মার্কসকে কেন্দ্র করেই। যেটিতে অংশ নিচ্ছেন এ শতকের জ্যকুয়েস দেরিদা থেকে, বলা হয় : ‘end of historyÕ will consists of the victory of democracy : communisim, in the Marxist view, must necessarily involve a form of direct democracy’ প্রসঙ্গত, মার্কস সাধারণত থাকেন প্রগতি ও সভ্যতার বিনির্মাণকেন্দ্রের ‘আইকন’ হিসেবে। সেখানে তিনি ‘ক্লাসিক্যাল এন্টিকুইটি’র অংশ, সন্দেহ নেই।

এ প্রবণতায় আমাদের এই শতকের সমাজের বীক্ষণটি বিবেচ্য। এখান এভাবে মনীষীগণের মত ও পথের পার্থক্য যাই দাঁড়াক, মুখ্যত বর্তমান সমাজের দ্বন্দ্ব বা চলতি প্রতিক্রিয়াশীল কর্পোরেট বিশ্বের উপলভ্য হিসেবে মানবসমাজ কতোটা কোন সত্যের মাঝে প্রতিশ্রুতিশীল বা হুমকিপ্রবণ কিংবা তার ভবিষ্যৎ বাস্তব অহংকার কী।

সেটার যুক্তি-প্রগতি ও রুচি বর্তমান আলোচনার অনিবার্য প্রত্যয়। মানুষ শ্রেয়োশীল। এই শ্রেয়োশীলতাই সভ্যতার মানদ-। সেটি টিকে থাকবে, সে আশা সকলের। কিন্তু কীভাবে? এখনকার শ্বাস-প্রশ্বাস কী সে কথাটি নিশ্চিত করতে পারে।

তত্ত্বকথা দিয়ে সমাজের পাল্সটাকে নির্ধারিত করা যায় না। আবার যা চিন্তকগণের তত্ত্ব তা সমাজকে অস্বীকার করেও নয়। ¯œায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমাদেও উপমহাদেশে রাজনীতি খুব বেশি এগোয়নি। ভারতের মতো লিবারাল ডেমোক্রাটিক রাষ্ট্রে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক দর্শনের পলিটিক্যাল পার্টি দেশ শাসনের ভার পেয়েছে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানের পরিণতি খুব একটা সুখকর নয়। নেপাল, বাংলাদেশ, ভূটান, মায়ানমারের মতো ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর কথা নাইবা বললাম। এদের পরিণতি করুণ বললেও কম বলা হয়। তাহলে, কী ফল মিলছে?

রাজনীতি তো সমাজের স্বার্থই বহন করে। দৃশ্যমান রাজনীতি কোন সমাজ তৈরি করছে বা কোন সমাজের ভার এই রাজনীতি বহন করছে। সেখানে ফুকুয়ামার তত্ত্ব একদম বাতিল করা যায় না। এমনকি ঘোর মার্কসবাদী হলেও। মার্কসবাদ এ সমাজের জন্য একটি ‘ইমেজ’তুল্য বিষয়। আর্ন্দ্রে গ্রামসী থেকে শুরু করে প্রাচ্যবিদ এদুয়ার্দ সাঈদ পর্যন্ত সকলেই মার্কসবাদ এবং এর আফটারম্যাথ নিয়ে কাজ করেছেন। সেখানে পোস্ট-কলোনিয়াল তত্ত্ব থেকে শুরু করে প্রগতিসাপেক্ষ সব তত্ত্বই মার্কসবাদী ইমেজকে কোনো না কোনোভাবে বহন করছে। সেখানে ফুকুয়ামার ‘লাস্ট ম্যান’ তত্ত্ব একটু আলাদা। মার্কসবাদী ইমেজের জন্যও থ্রেটনিং।

তবে কোনো পক্ষ বা বিপক্ষ নয়, অনেক ছোট ছোট রাষ্ট্রে (দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ, মায়ানমার বা মালয়েশিয়া) একক ব্যক্তির শাসন পরিপুষ্ট হচ্ছে। গণতন্ত্র সেখানে অন্য আঙ্গিকে পুনর্গঠিত হতে যাচ্ছে। শুধু ভোটাধিকারই মুখ্য নয়। কিংবা ভোটারের পছন্দমতো সংখ্যাগরিষ্ঠ পাওয়া দল শাসকে পরিণত হবে তা নয় বরং অধিক সুবিধা দিয়ে এজিটেট অংশকে নিরস্ত করে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতায় টিকে থেকে জনগণের বিশেষ দর্শনকে লক্ষ্যে স্থিও করার উদ্দেশে কাজ করা। সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ক্ষমতাসীর দল যে কোনো রকমে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করতে পারে।

রাষ্ট্র করছেও তাই। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ সামন্তশক্তির বৃত্তে বন্দী। দূরপ্রাচ্যের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাভিত্তিক আন্দোলন আছে। সেসব আন্দোলন বিশ্বসংবাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাই সকলেই তার খবরও পায় না।

কারণ, মিডিয়া কাদের? কোন প্রয়োজনে? মিডিয়ার রাজনৈতিক অর্থনীতি কী? প্রচারণা মডেলের নমুনা বলতেই বা আমরা কী বুঝি? মতামত প্রকাশ বা সমাবেশের স্বাধীনতা অনেক আগেই কানাকড়ির দামে বিক্রি হয়ে গেছে। পাশ্চাত্য ম্যানুফাকচারিং কনসেপ্টে মিডিয়া বন্দী। ফলে, সবকিছুই একটা মডেলের অনুকরণ। তাতে সমাজ অনশ্চল। তাই এ নিয়ে অনেক কথা বলেও আখেরে ফল কম। তাই বুদ্ধিজীবীর হাত-পা বন্ধ।

সে অনতিক্রান্ত বৃত্ত। ফলে, সমাজ অবরুদ্ধ। আর ডেমোক্র্যাসীর নামে লিবারেল ডেমোক্রাসীই বুঝি রোরুদ্যমান পথে ভোল পাল্টাবে আর ম্যানুফাকচারিং কনসেপ্টের নতুন নতুন রং নিয়ে ফিরে আসবে। আদতে তাই কি লাস্ট হিস্ট্রি বা লাস্ট অব দ্য ম্যান! প্রশ্নটির মুখ কীভাবে খোঁজা যাবে, যদি প্রচারণা মডেলের মতো, মানুষগুলোও সেই মডেলের অনুসরণ করে, তবে সমাজও সেখানেই বদ্ধ আর পচা গলির গন্ধ বহন করবে এর আর বিচিত্র কী। ফলে পলে পলে আমরা দেখ সাম্প্রদায়িকতার জিগিরে বড় বড় পণ্যেও বেসাতী চলছে আর মানুষগুলো স্ববিরোধী হয়ে এক এক জায়গায় মুখ গুঁজে পড়ে আছে। কেউ পাশ্চাত্য মডেলে বিষাক্ত হবে কেউবা ধর্মের আফিম খেয়ে বুঁদ হয়ে থাকবে। এর বাইরে একুশ শতকের সমাজ-বীক্ষণে আর কী ধরা পড়ছে, ঠিক বুঝে উঠতে পারা যায় না!

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মার্চ ২১, ২০১৮ ১২:৪১ অপরাহ্ণ