২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:০১

রোগ প্রতিরোধে পেঁপের গুণ

লাইফ স্টাইল ডেস্ক:

পেঁপে, খুব সাধারণ এক ফল হলেও এর পুষ্টিগুণ অসাধারণ। বাংলাদেশের মানুষের কাছে পেঁপে অতি পরিচিত একটি ফল। ফলটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সহজ পাচ্য, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও রোগ প্রতিরোধক। পেঁপেকে পুষ্টিরাজ ভাণ্ডার বলা হয়। সারা বছর ফলটি ফলে এবং সারাদেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়। সবজি ও ফল হিসেবে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

রক্ত আমাশয়:

প্রত্যেক দিন সকালে কাঁচা পেঁপের আঠা ৫-৭ ফোঁটা ৫-৬ টি বাতাসার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। ২-৩ দিন খাওয়ার পর রক্ত পড়া কমতে থাকবে।

কৃমি:

যে কোনো প্রকারের ক্রিমি হলে, পেঁপের আঠা ১৫ ফোঁটা ও মধু ১চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এরপর আধা ঘণ্টা পরে উষ্ণ পানি আধ কাপ খেয়ে তারপরে ১ চামচ বাখারি (শসা-ক্ষীরার মতো এর স্বাদ) চুনের পানি খেতে হয়। এভাবে ২ দিন খেলে ক্রিমির উপদ্রব কমে যাবে।

ক্ষুধা ও হজম শক্তি:

প্রত্যেকদিন সকালে ২-৩ ফোঁটা পেঁপের আঠা পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা ক্ষুধাও বেড়ে যাবে এবং হজমও ঠিকভাবে হবে।

পেট ফাঁপায়:

কয়েক টুকরো পাকা পেঁপের শাঁস, আর সামান্য লবণ এবং একটু গোলমরিচের গুড়ো একসংগে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা পেট ফাঁপার উপশম হয়।

প্রবল জ্বরে:

দেড় চামচ পেঁপে পাতার রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা জ্বরের বেগ, বমি, মাথার যন্ত্রণা, শরীরে দাহ কমে যাবে। জ্বর কমে গেলে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

মাসিক ঋতু বন্ধে:

যাদের মাসিক ঋতু বন্ধ হওয়ার সময় হয়নি অথচ বন্ধ হয়ে গিয়েছে অথবা যেটুকু হয় তা না হওয়ারই মত, সেক্ষেত্রে ৫-৬ টি পাকা পেঁপের বিচি গুড়া করে রোজ সকালে ও বিকালে দু’বার পানিসহ খেতে হবে। এর ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই মাসিক স্রাব ঠিক হয়ে যাবে, তবে অন্য কোন কারণে এটা বন্ধ হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

একজিমায়:

যে একজিমা শুকনা অথবা রস গড়ায় না, সেখানে ১ দিন অথবা ২ দিন অন্তর পেঁপের আঠা লাগালে ওটার চামড়া উঠতে উঠতে পাতলা হয়ে যায়।

উকুন হলে:

১ চামচ পেঁপের আঠা, তার সঙ্গে ৭-৮ চামচ পানি মিশিয়ে ফেটিয়ে নিতে হয়। তারপর ওই পানি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর মাথা ধুয়ে ফেলতে হয়। এইভাবে একদিন অন্তর আর একদিন বা ২ দিন লাগালে উকুন মরে যায়।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :মার্চ ২০, ২০১৮ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ