রংপুর প্রতিনিধি:
চার লাখ টাকা ধার নিয়ে ওই টাকা পরিশোধ না করে উল্টো সাত লাখ টাকা দাবী করেছে জিনিয়া বেগম নামের এক মহিলা। ওই সাত লাখ টাকা পেতে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পরিবারটিকে নানাভাবে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। নিরুপায় হয়ে মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রংপুর মহানগরীর নিউ সেন পাড়া এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেন এর ছেলে মনির হোসেন এর নিকট একই এলাকা মৃত শফিয়ার রহমান ওরফে রায়হানের স্ত্রী জিনিয়া বেগম স্থানীয় কয়েকজনকে স্বাক্ষি রেখে নন জুডিশিয়াল তিন’শ টাকার স্টাম্পে লিখিতভাবে নগদ ৪ ( চার) লাখ টাকা ধার নেন। যা তার নিজ জমির অংশ বিক্রি করে পরিশোধ করার অঙ্গিকার করেন স্থানীয় সাক্ষিদের উপস্থিতিতে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে। কিন্তু জিনিয়া বেগম তার জমি বিক্রি করলেও ওই চার লাখ টাকা তিনি পরিশোধ করেননি। বরং জিনিয়ার জমি ক্রয়কারি হোসনে আরা ও তার স্বামী ইউসুফ হোসেন আমাকে বিবাদী করে রংপুর সিটি মেয়রের কাছে নালিশ করেন। কিন্তু সিটি মেয়র এই ঘটনার কোন সত্যতা না পেয়ে দুই দুই বার তা খারিজ করে দেন। বিষয়টি স্থানীয় একজন কাউন্সিলরনের নির্দেশে ৩য় বার মেয়রের কাছে আবেদন করলে মেয়র চলতি বছরের ১০ এপ্রিল তাঁর অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই দিন আমি রংপুরে না থাকায় মেয়র মহোদয়ের কাছে উপস্থিত হতে পারিনি। এতে মেয়র এক তরফা সিদ্ধান্তে আমাকে ২২ মে এক নোটিশে সাত লাখ টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মনির হোসেন বলেন, মেয়রের ওই নির্দেশপত্র পেয়ে আমি অবাক হয়ে যাই যে, মেয়র নিজেই দুই দুই বার হোসনে আরা ও ইউসুফ আলীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কোন কাগজপত্র না থাকায়। কিন্তু আমি উপস্থিত না থাকায় পুনরায় সাত লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিলেন তিনি? এটি আমার প্রতি অন্যায় এবং জুলুম করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেয়রের ওই অন্যায় আদেশ পত্র নিয়ে কিছু সন্ত্রাসী আমাকে নিয়মিত ভয়ভিতি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এতে করে আমি এবং আমার পরিবার দারুণ ভাবে উদ্বিগ্ন এবং নিরাপত্তাহীনতায়। এছাড়াও আমি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি নিরাপত্তা চেয়ে রংপুর কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি যার নং ৭৬৮/১৭। আমিই তাদের কাছে পাই চার লাখ টাকা। উল্টো আমাকেই তাদের সাত লাখ টাকা দিতে হচ্ছে? এটি আজব এক কাহিনী।
তিনি আরো বলেন, জিনিয়া বেগম যে টাকা নিয়েছে তার স্থানীয় স্বাক্ষি এবং দালিলিক প্রমান আছে। আমি ওই প্রমাণ পত্র দিয়ে আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা করেছি যার সিআর নং১৫৪/১৭। মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেয়রের ওই আদেশের পর আমাকে নানাভাবে হয়রানী সহ হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। আমি আমার টাকা ফেরতসহ নিরাপত্তা চাই। সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান , লেবু মিয়া ও কির্তিমান রায় হারা উপস্থিত ছিলেন। ##
দৈনিক দেশজনতা/এমএম