আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের একাধিপত্য আটকাতে চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এক দিকে আমেরিকা, অন্য দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পাশে নিয়ে অনেক দিন থেকেই চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মালাবার নৌ-মহড়া ছাড়া হাতেকলমে সমুদ্র সক্রিয়তা কিছু দেখা যায়নি সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এ নিয়ে শীঘ্রই কৌশলগত সহযোগিতার দরজা খোলা হবে আমেরিকার সঙ্গে।
পাঁচ দিনের সফরে আজ আমেরিকা গিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা। তিনি বৈঠক করবেন সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস, নৌসচিব রিচার্ড স্পেনসার, প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবাহিনীর সচিব অ্যাডমিরাল স্কচ সুইফট-এর মত শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে, লাম্বার এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বার দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বয় আরও বাড়ানোর চেষ্টা হবে। প্রতিরক্ষা সমঝোতার সম্ভাবনার দিক খোলা সম্ভব হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকগুলিতে অগ্রাধিকার পেতে চলেছে দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিং-এর ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি। কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় ভারতকে বৃহত্তর ভূমিকায় দেখতে চায় আমেরিকা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে বেশি কিছু করে ওঠা সম্ভব হয়নি। আমেরিকা বিচ্ছিন্ন ভাবে বারবার রণতরী পাঠিয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরে। ওই এলাকায় অবাধ নৌ চলাচলের পক্ষে সওয়াল করেছে।
কিন্তু বেজিং তা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়েছে। ভারত চাইছে, আমেরিকা এমন কিছু পদক্ষেপ করুক যাতে সমুদ্র নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং অবাধ নৌ চলাচলের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক দাবি মানতে বাধ্য হয় চীন। গত নভেম্বরে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে সমুদ্র সমঝোতার প্রশ্নে একটি চতুর্দেশীয় অক্ষ গড়েছে ভারত। তবে সেটিও এখনও পর্যন্ত খাতায় কলমেই আটকে। একজোট হয়ে চার দেশের নৌবাহিনীর মহড়া অথবা প্রতিরক্ষা আদান প্রদান ঘটেনি। অ্যাডমিরাল লাম্বা পার্ল হারবার-এ মার্কিন নৌ ঘাঁটি, পেন্টাগন, হাওয়াই-এ নেভাল সারফেস ওয়ারফেয়ার সেন্টার (এনএসডাব্লিউসি)-এও যাবেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি