মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার যে ঘোষণা দিয়েছিল। রোববার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তার অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ। দলটির সহ দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ এ কথা নিশ্চিত করেন।
দুই দফায় তারিখ ঘোষণা করেও ঢাকা মহনগর পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো জনসভা করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত সাজা দেয়ার পর থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যাক্ত পুরাতন কারাগারে রয়েছেন। তাঁর মুক্তির দাবিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ডাক দেয় বিএনপি। তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে গ্রন্থমেলা চলার অজুহাতে অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।
এরপর ১২ মার্চ আবারও জনসভা করার কথা জানানো হয়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সেবারও অনুমতি দেয়া হয়নি। জনসভার অনুমতি না পেয়ে ওই দিনই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারো তৃতীয়বারের মত ১৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অথবা নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভার ঘোষণা দেন।
জনসভার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সমাবেশের ব্যাপারে আমরা এখনো অপেক্ষায় আছি। আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখনও ( রোবাবার সন্ধ্যায়) যদি জনসভার যদি অনুমতি আসে, তাহলেও আমরা প্রস্তুতি পুরোদমে চালিয়ে যাব এবং আমাদের ষ্টেজ করাসহ অন্য যে বিষয়গুলো, সেগুলো আমরা শুরু করে দেব। গণপূর্ত জানিয়েছে, পুলিশের অনুমতি পেলেই তারা মাঠ দিয়ে দেবে।
একই দাবিতে ১০ মার্চ খুলনায় ও ১৫ মার্চ চট্টগ্রামে জনসভা করেছে বিএনপি। এ ছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৪ দিন মানববন্ধন, অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। এসব কর্মসূচির কয়েকটিতে পুলিশ বাধা দিয়েছিল।
বিএনপি দফতর সূত্রে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দীর জনসভার অনুমতির বিষয়ে শনিবার ডিএমপিতে গিয়েছিল বিএনপির প্রতিনিধিদল। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়া, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ডিএমপিতে গেলেও কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি।
দলের সহ দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ ‘দৈনিক দেশজনতা’কে জানান, আমাদের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিএমপিতে ছিলেন। তাদের বলা হয়েছে, ‘কমিশনার স্যার মিটিংয়ে আছেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা কম’। ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ না পেয়ে চলে আসে বিএনপি প্রতিনিধি দলটি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ