স্পোর্টস ডেস্ক:
দুই বছর আগে এমনই এক বসন্তে এশিয়া কাপের শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে তার আগেও ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল টাইগারদের। তবে ২০১৬ সালের আসরটি ছিল একটু অন্য রকম। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটেই হয়েছিল সেবার ঢাকার টুর্নামেন্টটি। আর ক্রিকেটের যে ফরম্যাটের ধাঁধাঁ মেলাতে পারে না বাংলাদেশ, সেই তারাই শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে পৌঁছে যায় ফাইনালে। যদিও ফাইনালে শিরোপা জেতা হয়নি টাইগারদের। তবে দুই বছর পর আরেকটি ফাইনাল মুখোমুখি করিয়ে দিয়েছে এই দুই দলকে। এবার কলম্বোতে নিদাহাস টি-টুয়েন্টি তিন জাতি সিরিজের ফাইনাল। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পারবে প্রথমবারের মতো কোনো টি-টুয়েন্টি আসরের শিরোপা ঘরে তুলতে?
তবে প্রতিপক্ষ যখন ভারত, তখন তো হিসেবটা অতো সহজ হওয়ার কথা নয়। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল দল বলা হয় ভারতকে। এই ফরম্যাটের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ছিল তারাই। বাংলাদেশ যাদের সঙ্গে এর আগে সাতবার মুখোমুখি হয়ে একবারও জিততে পারেনি। রফিক তাই বললেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা ভারত অনেক উপরের দল। ওরা অনেক উঁচু পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে। আর এইসব টুর্নামেন্টে ওরা অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সুতরাং আমি ভারতকে অনেক এগিয়ে রাখবো। প্রত্যেকটা খেলায় হার-জিত আছে। কিন্তু আমাদের এখন কাজ হবে যতো ভুল কম করা যায়। এইসব ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে অভ্যস্ত। বাংলাদেশ কিন্তু অভ্যস্ত না।’
তবে চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলাদেশও সেই অভ্যস্ত হওয়ার পথটা পেয়ে যাবে সেটিও মনে করিয়ে দিচ্ছেন রফিক, ‘‘হ্যাঁ, বাংলাদেশ যদি আল্লাহর রহমতে কাল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তাহলে এই ‘চ্যাম্পিয়ন’ কি জিনিস এবং ‘চ্যাম্পিয়ন’ হলে যে কি আনন্দ সেটা অনুভব করতে পারবে। আগে ফাইনাল খেলেছে, হেরে গেছি। এসব মনে করে আপসেট হয়ে লাভ নেই।’’
তবে শক্তিশালী ভারত এগিয়ে থাকবে রোববারের ফাইনালে সেই কথা আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন রফিক, ‘আগেই বলতে পারি চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে কি যে একটা আনন্দ হবে এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে কতো বড় একটা মনোবল তৈরি হবে। সবাই বিশ্বাস পাবে আমরাও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ওই ধরনের মনোবল লাগবে। বাংলাদেশ কিন্তু সত্যি কথা ওই জায়গাটায় এখনো পৌঁছায়নি। কিন্তু এটা সত্যি কথা বাংলাদেশের এটা বড় সুযোগ। কিন্তু আমি বলবো ভারত অনেক শক্তিশালী দল।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ