আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নেপাল যাওয়া পাঁচ সদস্যের মধ্যে ১৬ মার্চ শুক্রবার ফারুক হোসেন প্রিয়ক (৩২) ও তিন বছরের শিশু কন্যা প্রিয়ন্ময়ী তামাররাকে রেখেই ফিরলেন বাকী তিনজন। তিন সদস্যের একজন আলমুন নাহার অ্যানি। যিনি স্বামী ও একমাত্র শিশুসন্তান হারিয়েছেন এ বিমান দুর্ঘটনার। তবে বুকে পাথর চাপা নিয়েও এখনো জানতে পারেননি তিনি কি হারিয়েছেন।
শুক্রবার শুক্রবার বিকাল ৩টা ৩৩ মিনিটে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তাঁরা দেশে ফিরে আসেন। তবে এখনই তাদের বাড়ীতে আনা হচ্ছে না। চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা।
১২ মার্চ সোমবার দুপুরে নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামের ফারুক ও মেহেদী হাসান দম্পতির পাঁচ সদস্য। বিমান থাকা দুই সম্পতির পাঁচ সদস্য হলেন, শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩২), তাঁর স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি (২৫), তাদের এক মাত্র সন্তান প্রিয়ন্ময়ী তামাররা (৩) ও নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৩) ও তাঁর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা আক্তার (২৫)।
ফারুক পেশায় একজন ফটোগ্রাফার, মেহেদী হাসান পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ফারুক ও মেহেদী হাসান সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই। এদের মধ্যে নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান, তাঁর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও ফারুক আহমেদের স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি আহতবস্থায় নেপাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দুই সদস্য ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও তার এক মাত্র সন্তান প্রিয়ন্ময়ী তামাররা বিমান বিধ্বস্তে মারা যান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ