২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২৮

গুরুদাসপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা

নাটোর প্রতিনিধি:

শত শত বিঘা ফসলী জমিতে পুকুর খনন। প্রতিবাদে কৃষকের মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ। স্থানীয় সাংসদের পুকুর খনন বিরোধি কঠোর অবস্থান। এমনকি সাংসদ নিজেও মাঠে নেমে পুকুর কাটা বন্ধ করেছেন একাধিক বার। কৃষক কুল ও স্থানীয় সাংসদ বার বার কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করলেও এসব তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রভাবশালী মহলের পুকুর খনন। অবশেষে পুকুর খনন বন্ধে নিরুপায় কৃষক দুইটি এক্সকেভেটর পুড়িয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার দিনগত রাত উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা বিলে ওই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দূর্গাপুর-বাবলাতলা গ্রামের কৃষক হারুর প্রামাণিক, সাহাদ, শামীম ও শীতলের প্রায় ১০ বিঘা জমি স্বল্প মূল্যে লিজ নিয়েছেন একই গ্রামের বাসিন্দা বদর আলী (৪৫)। হাড়িভাঙ্গা বিলের লীজ নেওয়া সেই জমিতেই শুরু করেছেন পুকুর খনন। অথচ এসব জমির পাশের একাধিক জমিতে ধানের আবাদ হচ্ছে। অন্যান্য জমিগুলোতে রয়েছে মওসুমি ফসল। পাশের ৯ বিঘা জমিতে আরেকটি পুকুর খনন চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, পুকুর খনন বন্ধে মানববন্দনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এমনকি স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস নিজেও পুকুর খননের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পুকুর খনন চলছেই। এখন হাড়িভাঙ্গা বিলে পুকুর দুইটি খনন করা হলে এই বিলের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে জলাবদ্ধতায় অন্য জমির চাষাবাদ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একারনেই নিরুপায় কৃষক পুকুর খনন বন্ধে দুইটি এক্সকেভেটরে আগুন দিয়েছেন।
পুকুর খননকারী বদর আলী জানান, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে দশ বছর মেয়াদী কৃষি জমি লিজ নিয়েছেন। বহু টাকা ব্যায়ে সেখানে পুকুর খনন করা হচ্ছে। তাছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন না হলেও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তিনি পুকুর খনন করছেন। কারা এক্সকেভেটরে আগুন দিয়েছেন তা তিনি জানেন না।
এক্সকেভেটরের চালক শরিফ বলেন, বৃহস্পতিবার পুকুর খননের জন্য ওই বিলে এক্সকেভেটর নামানো হয়। ওই রাতেই ২৫/৩০ জনের একটি দল কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক্সকেভেটরে আগুন দেয়। সেখান থেকে পাশের আরেকটি এক্সকেভেটরেও একইভাবে আগুন দেওয়া হয়। এতে এক্সকেভেটরের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে।
গুরুদাসপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. তারেকুর রহমান সরকার বলেন এ ব্যপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তাবে থানায় বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মার্চ ১৭, ২০১৮ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ