স্পোর্টস ডেস্ক:
‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভাগ্যাকাশ থেকে কালো মেঘ সরল না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচে বাজে উইকেটের জন্য একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল শের-ই-বাংলা। এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু আপিল ধোপে টেকেনি; শাস্তি বহাল রয়েছে দেশের মূল এই ক্রিকেট ভেন্যুর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে ঘূর্ণিঝড় তুলেছিলেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু এমন বোলার-বান্ধব উইকেট ঠিক আইসিসির নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। তাই আড়াই দিনে শেষ হওয়া মিরপুর টেস্টের উইকেটকে ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন ‘নিম্নমানের বলে রায় দিয়েছিলেন। এ কারণে একটি ডিমেরিট পয়েন্টের শাস্তি দেওয়া হয় এই মাঠকে। তারপর বিসিবি আইসিসির বরাবর আপিল করে।
আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইস ও ক্রিকেট কমিটির প্রধান অনিল কুম্বলে আপিলের পক্ষে বিসিবির যুক্তিগ এবং অন্যান্য তথ্য পরীক্ষা করে দেখেন। সব তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা প্রমাণ পান যে, টেস্টের প্রথম দিন থেকে উইকেট ভাঙতে শুরু করেছিল। যে কারণে উইকেটে অনিয়মিত বাউন্স ও টার্ন আসতে থাকে। যার কারণে মাত্রাতিরিক্ত সুবিধা পান বোলাররা। তাই ম্যাচ রেফারি বুনের দেওয়া শাস্তিই বহাল রাখেন তারা।
দ্বিতীয়বারের মতো ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আর তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ভেন্যু হিসেবে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যাবে এই মাঠ। ঝুঁকিটা শুধু এ বছরের জন্যই নয়; আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই কপাল পুড়বে হোম অব ক্রিকেটের।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর