নিজস্ব প্রতিবেদক:
ত্রিভুন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা যৌথভাবে তদন্ত করবে বাংলাদেশ ও নেপাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস।
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নেপালের তদন্ত দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ লক্ষ্যে একটি নামের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। আর এতে সায় দিয়েছে নেপাল।
রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস বলেন, দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন পেতে আমরা নেপাল সরকারকে সহায়তা করতে চাই। এ কারণে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ৩ জন সদস্যকে তাদের (নেপাল) তদন্ত দলে সংযুক্ত করতে অনুরোধ করেছি। তারা রাজি হয়েছেন। আমরা তাদেরকে বলেছি, আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির (আইকাও) বিধান অনুযায়ী, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্ত এক বছরের মধ্যে শেষ করতে হয়। সে অনুযায়ী তদন্ত কাজ করতে গেলে নেপাল কর্তৃক গঠিত ৬ সমস্যের দলে আরো জনবল প্রয়োজন।
এদিকে বাংলাদেশের ৩ জনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দিয়েছে নেপাল। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে তারা তদন্ত টিমে যোগ দিবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
এদিকে তদন্ত প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান বলেন, ‘তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। দুর্ঘটনার তদন্তে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ