২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৩৭

বিএনপির নেত্রীকে জেলে পাঠানো সরকারের উসকানী ছিল :নজরুল ইসলাম

মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে জেলখানায় পাঠানো একটি উসকানি ছিল। বিএনপি সেই উসকানিতে পা দেয় নাই। বিএনপিকে দিয়ে দেশে আগুন লাগিয়ে, সেই আগুনে আলু পোড়া দিয়ে খেতে চেয়েছিল সরকার। সে আশা পূরণ না হওয়ায় তারা মনোকষ্টে আছে।

তিনি বলেন, আরেকটি বিনাভোটের নির্বাচন করে নিজেরা আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার এবং দুুিনয়া জুড়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাফ) এর সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

নজরুল ইসিলাম খান বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রাখার জন্য সরকার আরও অনেক চেষ্টা করবে। তারা আর বেশী দিন দেশনেত্রীকে আটকে রাখতে পারবে না। ইনশা আল্লাহ নেত্রী অচিরেই জেল থেকে মুক্ত হয়ে আসবেন। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাঁর নেতৃত্বেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো। সে নির্বাচনে জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে।

বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেও সরকার ভরসা পাচ্ছে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ কোন কর্মসূচিই পালন করতে দিচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়া জনসভায় উপস্থিত থাকলেতো গণজোয়ার হবেই। দেশনেত্রী ছাড়াই যদি বিএনপির জনসভায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি লোক হয়, তাহলেতো তারা লজ্জা পাবে। তাই তারা বিএনপিকে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রিয়ভাজনরা ঠিকই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রাস্তা বন্ধ করে যেখানে-সেখানে সভা-সমাবেশ করছে। আমরা ফুটপাথে দাঁড়াতে চাইলেও আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, এক-এগারোর সময় বিএনপি ও ২০ দল ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পর মনে করেছিল, বিএনপি ও জোট ভেঙে যাবে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেও বিএনপির অনেক নেতাকে লোভ দেখিয়ে ভোটে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের কোনও ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। বিএনপি ও ২০ দল এত সহজে ভাঙা যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মৃতিচারণ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, খন্দকার দেলোয়ার ছিলেন শহীদ জিয়ার একজন আদর্শবান সুযোগ্য অনুসারী। তিনি কখনো বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা করেননি। নির্লোভ এই রাজনীতিবিদ জীবনে বহু অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন। তার সন্তানকেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। বিএনপির আজকের দুঃসময়ে খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মতো মহান নেতার খুব বেশি প্রয়োজন ছিল।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :মার্চ ১৫, ২০১৮ ৪:৪৯ অপরাহ্ণ