আশিকুর রহমান, ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রতিনিধি:
নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন অবস্থায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামের উজ্জল মিয়ার স্ত্রীর ২য় সন্তানের জননী ও ৭ মাসের গর্ভে (মেয়ে) অন্তসত্বা নিয়ে আসে সরকারি হাসপাতালের ডাঃ শরিফুল হকর কাছে চিকিৎসা নেয়ার জন্য।সে চিকিৎসা এখন কাল হয়ে দারিয়েছে সুমির।
ডাঃ শরিফুল হক একটি প্রেস্ক্রিপশন করেন এবং গ্যাস নেয়ার জন্য বলেন তখন ইব্রাহিম মেডিলের সত্বাধিকারি জাকির ওষধ ও গ্যাাস দিয়েছেন।ইব্রাহিম মেডিলের সত্বাধিকারি মো জাকির হুসেন তিনি ঔষধ পরিবর্তন করে দেয়াতে এমন হয়েছে বলে জানান ডাঃ শরিফুল হক । এদিকে রুগির অবস্থা অনেকটা খারাপ।এমন যদি হয় চিকিৎসার মান তাহলে কি করে স্বস্থিতে থাকবে এলাকার জনগন।বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালের ভূল চিকিৎসায় সর্বহারা সুমি বেগম এখন পাগলের মত মত হয়ে বসে আছে।
সুমির বেগম বলেন আমি কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা- কাশি তার ভেতরে আমাকে গ্যাস/নেবুলাইজার দেয়ার মত অসুস্থ আমি ছিলাম না। আমি সাথে সাথে ডাঃ কে বললাম কেন দেব, গ্যাস/নেবুলাইজার বাচ্চার ক্ষতি হবে কিনা,হলে দেয়ার দরকার নাই। তার পরেও সে লিখে দিল।আর জাকির আমাকে গ্যাস/নেবুলাইজার দেয় তখন তাকে বলেছি বুজে আমাকে দেবেন ও তার কাছ থেকে গ্যাস/নেবুলাইজার এর খালি সিসিটি জোর করে নিয়ে নেই। আমি বাড়ি যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই আমার শরিল ফুলে ও পানি ধরে যায়। আমার পেটে জন্তুনা শুরু করলে তারাহুরা করে আমাকে নরসিংদী একটি প্রাইবেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার ডঃ বলেন পটের বাচ্চা মারা গিয়াছে। আরো বলেন গ্যাস/নেবুলাইজার এর কারনে মারা গিয়াছে ।এখন আমার টাকাও গেল পেটের মেয়েও গেল আর একটা সিজারের রুগি হতে হল।এর দায় ভার কে নিবে।
এ নিয়ে জাকির হুসেন বলে আমি ফাহিম মেডিকেল হল থেকে এনে দিয়াছি ।আমি কোম্পানি পরিবর্ত করেছি তবে ঔষধ একই ঔষধ দিয়েছি।ডাঃ শরিফুল হক বলেন আমি লিখে দিয়াছি পরিবর্তন করবে কেন সে না বুজে দিয়েছে। এ নিয়ে সিভিল সার্জন নিশিত কুমুর বলেন আমি জানিনা তবে দেখব। ড্রাগ সুপার এর সাথে জনতে চাইলে তিনি বলেন ঔষধ পরিবর্তন করা দন্ডনিয় অপরাধ । আইন অনুসারে তার বিচার হবে। এমন যদি হয় চিকিৎসা সেবা তাহলে কি করবে সাধারন জনগন।ডাঃ শরিফ কেন গ্যাস/নেবুলাইজার লিখতে গেল সেতো এমন অসুস্থ ছিল না তাকেতো টেবলেট দিয়ে চিকিৎসা হইত। আবার ঔষধের গায়ে লিখা আছে (প্রেগন্যন্সি কেটাগরি সি) গর্ভবতী মায়ের দেয়া নিষেধ, তাহলে জাকির এটা কেন (পরিবর্তন) দিল সে কি ফার্মাসিষ্ট করেছে,তার ড্রাগ লাইসেন্স আছে। থেকে থাকলে তার লাইসেন্স বাদ করে তার ফার্মেসী সীলগালা করা ও তার সঠিক বিচারের দাবী জানান সুমির পরিবার।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি