বিনোদন ডেস্ক:
‘রাজনীতি’ সিনেমায় অটোরিকশাচালক ইজাজুল মিয়ার মোবাইল নম্বর ব্যবহার, প্রতারণা ও মানহানির মামলায় নায়ক শাকিব খানকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
তবে চালক ইজাজুলের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করায় ‘রাজনীতি’ সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহানের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি শাহ আলম। এর পর অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়। এ সময় আদালত জানতে চান, এ ঘটনায় নায়ক শাকিব খানের কী সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি তো পরিচালক ও প্রযোজকের নির্দেশনায় শুধু শব্দ উচ্চারণ করেছেন মাত্র।
এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, পরিচালক-প্রযোজক যা বলবেন তাই নায়ক-নায়িকা উচ্চারণ করবেন, তা হতে পারে না। এক্ষেত্রে নায়ক-নায়িকারও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। সিনেমায় পূর্ণ ডিজিটের একটি মোবাইল নম্বর উচ্চারণের ক্ষেত্রেও এমন সচেতনতার প্রয়োজন ছিল। শুনানি শেষে আদালত আগামী ১০ মে মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন। এদিকে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মামলার বাদী ইজাজুল।
তিনি বলেন, এক নম্বর আসামি শাকিব খানকে বাদ দিয়েই নাকি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আমি শাকিব খানকেই চিনি। অন্য কাউকে চিনি না। কে তাকে নম্বর দিয়েছেন তা আমার জানার দরকার নেই। আমি চাই শাকিব খানকে আসামি করা হোক। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে এর বিরুদ্ধে নারাজি দেব।
ইজাজুলের আইনজীবী এমএ মজিদ জানান, নায়ক শাকিব খান এক নম্বর আসামি। তার মুখ থেকেই মোবাইল নম্বরটি উচ্চারিত হয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা সমীচীন হয়নি। আমরা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেব। সে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজনীতি সিনেমায় নায়ক শাকিব খান নায়িকা অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে একটি মোবাইল নম্বর বলেন। সে মোবাইল নম্বরের মালিক হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ইজাজুল মিয়া। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নায়ক শাকিব খান ভেবে অনবরত ফোন আসতে থাকে ইজাজুল মিয়ার নম্বরে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ইজাজুল মিয়া থানায় জিডি করেন। এ নিয়ে মোবাইল ফোন ব্যস্ত থাকার কারণে সিএনজি অটোরিকশাচালকের চাকরি হারান তিনি। সংসার ভাঙার উপক্রম হয়। একপর্যায়ে গত ২৯ অক্টোবর নায়ক শাকিব খান, রাজনীতি সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে মামলা করেন ইজাজুল মিয়া।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহান হবিগঞ্জের ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালত চার দফা সময় দিলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। অবশেষ আজ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর