নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালীর আমির আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। রায়ের দিন ধার্য করে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিবেন। অভিযুক্ত আসামিদের সবাই নোয়াখালী জেলার সুধারাম এলাকার অধিবাসী। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও আব্দুল কুদ্দুস।
আর পলাতক আছেন আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। আরেক আসামি ইউসুফ আলী গ্রেফতার হলেও মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। মুক্তিযুদ্ধকালে নোয়াখালী জেলার সুধারামে ১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ চারজনের বিচার শুরু হয়। ওই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।
গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওই দিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিলে ওই দিনই নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার হন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও ইউসুফ আলী। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় আব্দুল কুদ্দুসকে।
ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে আত্মসমর্পণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা গ্রেফতার হননি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি