নিজস্ব প্রতিবেদক :
দূরপাল্লার বাস থেকে গতকাল শনিবার ভোরে ফকিরাপুলে নেমে রিকশায় ওঠেন জসিম উদ্দিন। গন্তব্য মিটফোর্ড হাসপাতাল। ভাড়া ৮০ টাকা। রিকশাচালক তাকে মিটফোর্ডে না নিয়ে অন্য পথে যান। কিছুক্ষণ পর জসিম নিজেকে আবিষ্কার করেন আজিমপুর চায়না বিল্ডিংয়ের গলিতে।
সেখানে থাকা দুজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে রিকশা থামান। তারা ছিনিয়ে নেন জসিম উদ্দিনের কাছে থাকা ১৬ হাজার টাকা। এ সময় জসিম কৌশলে পথচারীদের কাছে সাহায্য চাইলে পথচারীরা রিকশাচালক ও পুলিশের ভুয়া পরিচয় দেওয়া দুজনকে আটক করেন।
জসিম বলেন, পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চান পথচারীরা। আর এতেই বিপাকে পড়েন তারা। পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পথচারীরা বুঝতে পারেন, ওই দুজন ভুয়া পুলিশ। শুরু হয় গণপিটুনি। পিটুনির শিকার ওই দুই ব্যক্তি হলেন জিন্নাত হোসেন (৪৮) ও নাহিদ (৪৩)। আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রিকশাচালকের নামও জসিম (৩৫)। পাশেই লালবাগ থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিকশাচালকসহ তিনজনকে আটক করে। পথচারী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত রিকশার যাত্রী জসিম উদ্দিন তার ১৬ হাজার টাকা ফেরত পান।
পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আরিফুল ইসলাম দুপুরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে লালবাগ থানায় নিয়ে যান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ কুমার পাল বলেন, আটক দুজন স্বীকার করেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা ও জিনিসপত্র ছিনতাই করে আসছিলেন। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

