নিজস্ব প্রতিবেদন :আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় শুরু হয়ে তা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। সঙ্গীত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র রায়হানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে বুধবার হলের ১টি সিট নিয়ে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যার জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরাই দেশীয় অস্ত্র রড, রাম দা ও লাঠি নিয়ে পরস্পরকে হামলা করে। এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া দেয়। ইট-পাটকেল ছোড়ে। এসময় হলের পূর্ব ব্লকের ২য় তলার ৫টি সিট ভাংচুর করা হয়।
পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টায় দিকে আবিদ আল হাসান এসএম হলের অতিথি কক্ষে হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, এ ঘটনা অনাকাঙ্খিত। জড়িতদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবিদ আল হাসান ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন।