নিজস্ব প্রতিবেদন
রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বাস থাকবে কিনা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের পর সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআরটিএ’র পরিচালক শেখ মাহবুব ই রব্বানী।
তিনি বলেন, রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বাস চলাচলের অনুমোদন নেই। কিন্তু নগরে এখন প্রায় সব বাসই সিটিং সার্ভিস। আমরা তা বন্ধে অভিযানে নামার পর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মালিক-শ্রমিক বাস বন্ধ করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ১৫ দিন পর সিটিং সার্ভিসের বাস চলাচল নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল।
বিআরটিএ’র এই কর্মকর্তা বলেন, কিন্তু বাস মালিক-শ্রমিক এবং বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। এই প্রেক্ষাপটে আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি।
মাহবুব ই রব্বানী ওই কমিটির প্রধান তিনি নিজে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বাস থাকবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ এপ্রিলের পর থেকে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআরটিএ। এরপর ১৬ এপ্রিল থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও বাস-মালিক শ্রমিকরা সড়কে বাস চলাচল কমিয়ে দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
এই প্রেক্ষাপটে ওই দিন তেঁজগাওয়ে পরিবহনে অনিয়ম ঠেকাতে বিআরটিএ অভিযান পরিচলনা করে। ওই অভিযান পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন খাতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা হবে, যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা হবে।
কিন্তু তৃতীয় দিনের মাথায়ও সড়কে যখন গাড়ি স্বল্পতা দেখা দেয়- তখন মন্ত্রী বলেন, বাস মালিকরা প্রভাবশালী-তারা অনেক ক্ষমতাবান।
এরপর পরদিন ১৯ এপ্রিল রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বাস চলাচল বিষয়ে ১৫ দিন পর বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জানানোর কথা বলা হয়।
বিআরটিএ’র এ ঘোষণায় অনানুষ্ঠানিকভাবে ফের রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের বাস চলাচল শুরু হয়।
এদিকে আজ ১৫ দিনের মাথায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বাস থাকবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আট সদস্যের কমিটি গঠন এবং কমিটি ৩ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা জানাল।
এর মধ্য দিয়ে রাজধানীতে অঘোষিতভাবেই সিটিং সার্ভিসের বাস চলাচলে আপাতত বাধা উঠে গেল।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জানান, সিটিং সার্ভিস চললেও তাতে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া নিতে হবে। বাড়তি ভাড়া আদায় করা যাবে না।
তিনি জানান, নির্ধারিত ১৫ দিন শেষে আজ নতুন করে তিন মাসের সময় বেঁধে দিয়ে আট সদস্যের কমিটির করা হয়েছে।