নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আর ১৯ জন। শনিবার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী ও জুনদহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত ১১ জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামের জাকির হোসেন (২৫), খসরু মিয়া (৫২) ও রাজু মিয়া (২৮), নীলফামারী সদর উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের রেজিয়া আকতার (৭০) ও মারুফা বেগম (৩৫), ফকিরপাড়ার মোতাহার (৪৫), কিশোরগাড়ীর উত্তর সিঙ্গারগাড়ী গ্রামের ফরহাদ (২০) ও ডোমারের বেতগাড়ী গ্রামের মফিজুল ইসলাম (৫৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাইবান্ধা থেকে বগুড়াগামী এসএন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সকাল ১০টার দিকে পলাশবাড়ীর সরকার এন্টারপ্রাইজ ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছায়। এসময় সামনের চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতমুখী একটি যাত্রীবাহী ট্রলিকে চাপা দেয় বাসটি।
এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন এবং ১০ জন আহত হন। তাদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখানে আরও একজন মারা যান।
অন্যদিকে, বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা ছেড়ে আসা রংপুরমুখী রড বোঝাই একটি ট্রাক উপজেলার নুনদহ এলাকায় একটি বাই সাইকেলকে পাশ কাটতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়।
এতে দুই নারীসহ ট্রাকের সাত যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন ১০ জন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার জানান, নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ