নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, দুর্নীতি ছাড়া পৃথিবীতে কোনো দেশ নেই। তবে বাংলাদেশে দুর্নীতি থাকলেও প্রতি বছরই প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
গওহর রিজভী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, বিদেশি বিনিয়োগ, নতুন শিল্প ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের আগে যেসব দেশ এলডিসি থেকে বের হয়েছে তারা ছোট ছোট দেশ। তাদের উন্নয়ন ও জনসংখ্যা খুবই কম। ওই সময় তাদের প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক বিনিয়োগে পতন ঘটেছে, রেমিটেন্সও কমেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন এলডিসি থেকে বের হচ্ছে তখন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি অনুকূলে নয়। এজন্য বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণকালীন টেকসই অর্থনীতি ধরে রাখতে উত্তরণকালীন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিশ্ববাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদনও বাড়াতে হবে এবং একই পণ্যে নির্ভর না করে পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এলডিসি থেকে বের হলে রেয়াতি সুদের সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ। এজন্য নতুন উচ্চ সুদ মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করতে হবে।
সিপিডি ফেলো আরও বলেন, রফতানি বহুমুখীকরণ, শ্রমিকের দক্ষতা উন্নয়ন, শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ধরে রাখা সংক্রান্ত কৌশল সরকারকে নিতে হবে।
এছাড়া দেশের ভিতরে গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা, ঐক্য এবং সুশাসন ধরে রাখতে না পারলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুফল পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ