নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর হাতিরঝিলে পোশাক রপ্তানিকারককদের সংগঠন বিজিএমইএ তাদের বহুতল ভবনটি ভাঙতে আরো এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গত ৫ মার্চ এ আবেদন করা হয়েছে। এর আগে বিজিএমইএ’র ভবনটি ভাঙতে গত বছরের ৮ এপ্রিল সাত মাস সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।আদেশে আদালত বলেছিলেন, এটাই শেষ সুযোগ। আর সময় দেওয়া হবে না। আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
ভবন ভাঙতে আদালতের দেওয়া নির্ধারিত সময় আগামী এপ্রিলে শেষ হওয়ার আগেই সময় চেয়ে আবেদন করল বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে বলেন। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন। ১২ মার্চ আপিল বিভাগ আবেদন নিষ্পত্তি করে ছয় মাস সময় দেন।
২০১৬ সালের ২ জুন বিজিএমইএ’র করা লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যায় আপিল বিভাগে। ওই বছরের ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের পূর্ব পাশে অবস্থিত বিজিএমইএ’র ১৬তলা ভবনটি অবিলম্বে সংগঠনের নিজ খরচায় ভেঙে ফেলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ। এর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়।
‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, বেগুনবাড়ি খাল ও হাতিরঝিল জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচা আবেদনকারীর (বিজিএমইএ) কাছ থেকে আদায় করবে তারা।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর