অনলাইন ডেস্ক :
মহাশূন্যে সাত বছরের অভিযান শেষ করে চীনের স্পেস স্টেশন তিয়াংঅং-১ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ছুটে আসছে। স্পেস স্টেশনটি আকারে একটা বাসের চেয়ে একটু ছোট। প্রথমে চীনের বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে। পরে তারা জানায়, ২০১৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে ধেয়ে আসবে স্টেশনটি।
কিন্তু, ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানায়, তিয়াংওয়ং-১ মার্চ মাসের মাঝামাঝি আছড়ে পড়বে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এসপ্তাহে বলেছে, মার্চের ২৯ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৯ তারিখের মধ্যে এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
কিন্তু, বায়ুমণ্ডলের ঠিক কোনো জায়গা দিয়ে স্পেস স্টেশনটি পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসবে তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না এবং তা আন্দাজ করারও কোনো উপায় নেই। সাড়ে নয় টন ওজনের চীনা স্পেস স্টেশন এখন কোন জায়গায় মুখ থুবড়ে পড়বে, সেই নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ঠিক কোন জায়গায়, কবে ওই বিশাল ধ্বংসস্তূপ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে, তা নির্ণয় করতে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।
তিয়াংঅং-১ নামে চীনের এই মহাকাশ স্টেশনটি বিকল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে চীনা ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ২০১১ সালে উত্ক্ষেপণ করা হয়েছিল চীনের প্রথম মহাকাশ গবেষণাগারটিকে। এটিকে স্থায়ী গবেষণাগার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় চীন। কিন্তু, পাঁচ বছর পর যান্ত্রিক গোলযোগের ফলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় স্পেস স্টেশনটি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এ কথা জানিয়ে চীন সতর্ক করে বলে, এটি খুব শিগগিরই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি অনুমান করছে, ৪৩ ডিগ্রি উত্তর এবং ৪৩ ডিগ্রি দক্ষিণের মধ্যে যে কোনো জায়গায় এটি আছড়ে পড়তে পারে। অর্থাৎ স্পেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, গ্রিস এসব দেশের একটিতে এটি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। কোনো কোনো বিজ্ঞানীর মতে, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকাতেও গিয়ে পড়তে পারে তিয়াংঅং-১।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর