২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:২৫

খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দলীয় প্রধান  বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি। দলের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আসছে সরকারি বাধা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিএনপির এ ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দিলে সংঘাত বাড়বে, যা কারো জন্যই মঙ্গল নয়। মানববন্ধন, লিফলেট বিলির মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সরকারের পতন হয় না। তাহলে এ সব কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকারের লাভ কী? বরং সরকারের উচিত বিএনপিকে তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, এখন বিএনপি  বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে আন্দোলন করছে, সেটার জন্য তারা প্রশংসা পেতে পারে। তাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার কাজটা ঠিক করছে না। যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আমরা দেখব যে সামনের দিনে সংঘাত বেড়ে গেছে। তিনি যোগ করেন, আমরা দেখছি, এখনো দুই দলের জন্য মাঠ সমান না। বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত তাদের সেই সুযোগ দেয়া। নাহলে মানুষ সরকারকেই অভিযুক্ত করবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে হলে এই সুযোগ-সুবিধা তো তাদের দিতেই হবে।

আবার বিএনপিরও উচিত, তাদের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করা। তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না, একাত্তর নিয়েও তাদের অস্পষ্টতা আছে। এছাড়া তাদের জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে। এ সব বিষয় তারা পরিষ্কার না করলে মানুষও তাদের সঙ্গে থাকবে না। আবার সরকারও যেটা করছে, সেটা করে প্রকারান্তরে বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান নিয়ে অধ্যাপক ইসলাম বলেন, যদি জামিন পেয়েও  বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হন এবং নির্বাচনি জনসভায় যোগ দিতে পারেন, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তিনি নিজে অংশ নিতে না পারলেও বিএনপি নির্বাচনে জিতলে তাঁর মামলা প্রত্যাহার হয়ে যাবে। তিনি কোনো একটি আসন থেকে উপ-নির্বাচন করে দায়িত্ব নিতে পারবেন। তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যদি  বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকেন, তাহলে দেশ সংঘাতের দিকেই যাবে, সেটা কারো কাম্য না। বিএনপির এই আন্দোলনের নতুন কৌশল অনেক সাধারণ মানুষই পছন্দ করেছেন। কিন্তু সেখানেও বেধেছে বিপত্তি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চ আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলেও বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই অভিযোগের বিষয়ে কাদের বলেন, সভার অনুমতি দেওয়া মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্যাপার। দলীয়ভাবে এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ইন্টারফেয়ার আছে এটা মনে করা ঠিক নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র, আমরা সামান্য একটা কর্মসূচিও করতে পারছি না। অথচ ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বুধবার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।  বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এই স্থানে জনসভা করতে চাইলেও সেই অনুমতি পায়নি দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রহীন অবস্থা চলছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও করতে পারছি না। অথচ আওয়ামী লীগের সমাবেশে যাওয়ার সময় নারীদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এর কোনো বিচার হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, জনগণের ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে গেলে জুলুম চালিয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর

প্রকাশ :মার্চ ১০, ২০১৮ ১২:০৮ অপরাহ্ণ