আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘৌতায় সরকারি বাহিনীর ব্যাপক বোমা হামলার মধ্যেই জাতিসংঘের একটি ত্রাণবহর সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রেডক্রস বলেছে, খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী দৌমা শহরে পৌঁছেছে। সরকারি বাহিনী শুক্রবার সারারাত বিমান হামলা বন্ধ রাখলে ত্রাণবহরটি সেখানে পৌঁছাতে পারে। শুক্রবার ঘৌতার পরিস্থিতিকে অনেকটা ‘শান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন কর্মকর্তারা। এর আগে গোলবর্ষণের কারণে সেখানে ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। রেডক্রসের একজন মুখপাত্র ইনজি সেডকাই বলেন, ‘আজ তারা বাকি ত্রাণ সরবরাহ করবে, যে ত্রাণগুলো আগের ৫ মার্চের ত্রাণবহরে দেওয়া হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি যে, আগামী সপ্তাহে চিকিৎসা সামগ্রীসহ অতিরিক্ত কিছু ত্রাণসহ একটি বড় ত্রাণবহর পাঠানো যেতে পারে।’
মানবিক সংকট লাঘবের একটি চেষ্টা হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই সোমবার প্রথমবারের মতো ৪৬টি ট্রাকের একটি ত্রাণবহর ঘৌতায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু সিরীয় সরকারি বাহিনী বুধবার থেকে হামলা বৃদ্ধি করায় সেখানে আর কোনো ত্রাণবহর ঢুকতে পারেনি। এরকম অবস্থায় সেখানে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর ত্রাণ ও সহযোগিতা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পূর্বে অবস্থিত ঘৌতায় বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত আট শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আসাদ সরকারের বিরোধীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পূর্ব ঘৌতায় প্রায় চার লাখ মানুষের বাস। ২০১৩ সাল থেকে এলাকাটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সেখানে বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া সমর্থিত আসাদ বাহিনী। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পূর্ব ঘৌতায় বিমান হামলা বন্ধ করতে একটি সর্বসম্মত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হয়। কিন্তু আইএস, আল-কায়েদা ও আল নুসরা ফ্রন্টের মতো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধবিরতি প্রযোজ্য নয়, এমন যুক্তিতে সেখানে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সিরীয় সরকারি বাহিনী।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর