২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:৪৩

রাখাইনে গণহত্যার ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ’ চায় মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন বা গণহত্যাসহ জুলুম নির্যাতনের অভিযোগের স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে চায় মিয়ানমার। বৃহস্পতিবার জেনেভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুন এ কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।

থাউং টুন বলেন, ‘রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে বসবসারত মুসলমানরা এখনও সেখানেই বসবাস করছেন। যদি সেখানে গণহত্যা চালানো হতো তাহলে ওখানে আর কেউ বসবাস করতো না।’

তিনি বলেন, ‘জাতিগত নিধন বা গণহত্যার অভিযোগটি গুরুতর এবং এটি হালকাভাবে নেওয়ার বিষয় না। আমরা প্রায়ই অভিযোগ শুনি যে মিয়ানমারে জাতিগত নিধন বা গণহত্যা হয়েছে। আমি আগেও বলছি এবং আবারও বলতে চাই এটি আমাদের সরকারের নীতি নয়। তারপরও যদি অভোযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ দিতে হবে।’

মিয়ানমারের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেন, ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভাশন আর্মির (এআরএসএ) ভয়ে রাখাইনের মুসলমানরা দেশত্যাগ করেছেন। তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার ইচ্ছা আছে মিয়ানমারের। রাখাইনের গ্রামে গ্রামে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সেনাবাহিনী।’

গত ৭ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রা’দ আল হুসেইন অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘রাখাইনে স্পষ্ট এবং শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন ও গণহত্যার।’

জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২ হাজার রোহিঙ্গা গণহত্যার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি ১০ হাজারের বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। নিজেদের নানা সমস্যার মধ্যেও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে গত ছয় মাসে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে আরও প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :মার্চ ৯, ২০১৮ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ