নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নুর-উন-নবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার অভিযোগ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পত্র পাঠিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো পত্রে প্রফেসর ড. একেএম নুর-উন-নবী উপাচার্য থাকাকালীন ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আপ্যায়ন ব্যয় সংক্রান্ত কাজপত্রের সত্যায়িত কপি, এ চার বছরের টিএ/ডিএ সংক্রান্ত ব্যয়ের ভাউচার, উপাচার্য ছাড়া অন্য যেসব পদে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন তার পূর্নাঙ্গ বিবরণের কপি, তিনি উপাচার্য থাকাকালীন ওয়াজেদ রিসার্স ইনস্টিটিউটে ভর্তিকৃত গবেষকদের তালিকা ও অন্যান্য বিররণের কপি, ৪৩-৪৫তম সিন্ডিকেটের রেজ্যুলেশনের সত্যায়িত ফটোকপি, নির্বাহী প্রকৌশলী পদে জাহাঙ্গীর আলমের চাকরি স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র, ওই চারবছরে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত কাগজপত্র, ওই সময়ে ট্রেজারার দফতরের আপ্যায়ন সংক্রান্ত বিলের ভাউচার, বিগত চার বছরে গাড়ির জ্বালানি ব্যয়, তার ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর, চার বছরে ভর্তি পরীক্ষা থেকে উপাচার্যের গ্রহণকৃত অর্থের হিসেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে গঠিত উন্নয়ন ফান্ডের ব্যাংক স্টেটম্যান্ট চেয়েছে দুদক। আগামী ২০মার্চের মধ্যে উল্লিখিত কাজগপত্র প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবরাহীম কবীরকে অনুরোধ করেছে দুদক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার ইবরাহীম কবীর বলেন, “দুদকের একটি চিঠি পেয়েছি। যেহেতু তদন্ত কার্যক্রম চলছে, এজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে সহায়তা করা হবে।”
দৈনিক দেশজনতা /এন আর