লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
টি-ব্যাগ ব্যবহারের পরে সেটি কী করেন? নিশ্চয়ই ফেলে দেন ময়লার ঝুলিতে। ফেলনা জিনিস তো ফেলে দেয়ারই নিয়ম। কিন্তু আপনার এই ব্যবহৃত টি-ব্যাগটিই আসতে পারে অনেক দরকারি কাজে।
পাস্তা তৈরিতে :
এরপরের বার যখন আপনি জেসমিন রাইস কিংবা লেমনগ্রাস পাস্তা তৈরি করবেন তখন অবশ্যই আপনার ব্যবহৃত টি-ব্যাগটিও রাখুন। পাস্তা সেদ্ধ করার সময় ফুটন্ত পানিতে টি-ব্যাগটিও ঝুলিয়ে দিন। পানি ঝরানোর সময় টি-ব্যাগটি ফেলে দিন।
ব্যবহৃত টি-ব্যাগ দিয়ে পানি ফুটান। এবার সেই ফুটানো পানি ঠান্ডা করে গাছের গোড়ায় দিন। এটি গাছকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে বাঁচাবে। ব্যবহৃত টি-ব্যাগের মুখ খুলে তা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এটি সারের কাজ করবে।
জুতার গন্ধ দূর করতে :
জুতার ভেতরটা শুষ্ক এবং দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে কিছুক্ষণের জন্য ব্যবহৃত টি-ব্যাগ রাখতে পারেন। এটি জুতা শুষ্ক ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
কাঁচ পরিষ্কার করতে :
আসবাব কিংবা দরজা-জানালার কাঁচ পরিষ্কার করা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। ব্যবহৃত টি-ব্যাগটি পুনরায় ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে কাঁচ পরিষ্কার করতে পারেন। আর তাতে অবশ্যই পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করবেন।
পেডিকিওর :
ত্বকের মৃত চামড়া তুলে ফেলতে টি-ব্যাগ বেশ কার্যকরী। তাই পেডিকিওরের উপদান হিসেবে রাখতে পারেন ব্যবহৃত টি-ব্যাগ। এটি পেশী শিথিল এবং ব্যথা বা ফোলা রোগ নিরাময় করে।
কন্ডিশনার :
আপনার চুল ঝলমলে আর উজ্জ্বল করতে নিশ্চয়ই কন্ডিশনার ব্যবহার করেন? ব্যবহৃত টি-ব্যাগটি আবার জ্বাল দিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
হাঁড়ির দাগ দূর করতে :
রান্না করতে গিয়ে ভুলবশত হাঁড়ি পুড়িয়ে ফেলতেই পারেন। কিন্তু হাঁড়ির সেই পোড়া দাগ দূর করা বেশ দুঃসাধ্য। এর সহজ সমাধান হচ্ছে ব্যবহৃত টি-ব্যাগ সেই পোড়া হাঁড়িতে দিয়ে ফোটাতে পারেন। তাতে করে পোড়া দাগ উঠে আসবে। আর হাঁড়ি হবে আগের মতোই ঝকঝকে।
এয়ার ফ্রেশনার :
আপনার পছন্দের কোনো এসেন্সিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা ব্যবহৃত টি-ব্যাগে মিশিয়ে বাসায় টাঙিয়ে দিন। ঘরদোর সুবাসে ভরে উঠবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ