২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৩৩

মশাবাহিত ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে মশার ব্যবহার

অনলাইন ডেস্ক: 

মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সিঙ্গাপুরে ৷ প্রকল্পের নাম ‘প্রোজেক্ট ওলবাকিয়া’৷ ওলবাকিয়া হচ্ছে একটি ব্যাকটেরিয়া ৷ ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য দায়ী এডিস এজিপ্টি মশার মধ্যে এই ওলবাকিয়াকে ঢুকিয়ে দেয়া হবে  ৷ ফলে ঐ মশাগুলো বন্ধ্যা হয়ে যাবে ৷ এই অবস্থায় সেগুলোকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়া হবে ৷

উদ্দেশ্য হচ্ছে, ওলবাকিয়া সমৃদ্ধ পুরুষ এডিস এজিপ্টি মশা যখন নারী এডিস এজিপ্টি মশার সঙ্গে মিলিত হবে, তখন যে ডিম উৎপাদিত হবে, তা নিষিক্ত হবে না ৷ ফলে এডিস মশার সংখ্যা আর বাড়বে না ৷ সিঙ্গাপুরের ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি’এনইএ সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ৷ এপ্রিল থেকে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৷

ওলবাকিয়া সমৃদ্ধ মশা দিয়ে এডিসকে নিধন করার এটিই প্রথম উদ্যোগ নয় ৷ এর আগে গতমাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোগবাহী এডিস এজিপ্টির সংখ্যা কমাতে ওলবাকিয়াবাহী বন্ধ্যা মশা ছেড়েছিলেন ৷ তারও আগে গত আগস্ট মাসে ব্রাজিলের রিও ডি জানিরোতেও একই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ৷

এডিস এজিপ্টি মশার কারণে প্রতিবছর বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের দুই কোটিরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৷ তবে শুধু ডেঙ্গু নয়, জিকা, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি রোগের জন্যও দায়ী এডিস এজিপ্টি মশা ৷ ডেঙ্গুর কারণে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, ত্বকে র‍্যাশ ইত্যাদি হয় ৷ কখনও কখনও তা প্রাণঘাতীও হতে পারে ৷

তাছাড়া জিকা ভাইরাসের কারণে নবজাতক শিশুর জন্মের সময় মারাত্মক ত্রুটি দেখা দেয় ৷ ২০১৬ সালে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই সময় কিছুদিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল ৷ ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়েছিল ৷ এরপর গতবছর চিকুনগুনিয়া রোগে ভুগেছিলেন অনেকে ৷ এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকলেও রোগীর কষ্ট হয় বেশি ৷

দৈনিক দেশজনতা/ এফ আর

প্রকাশ :মার্চ ৭, ২০১৮ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ