নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। যারা এই দেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে নাই, তাদের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু ‘৭৫ এর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধী ও সাজাপ্রাপ্তদের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং উপদেষ্টা বানানো হয়েছিলো। পাকিস্তানীদের পদ লেহন করাই তাদের কাজ ছিলো। ইতিহাস মুছে দিতে শুরু করেছিলো।
যেখানেই ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানো হতো সেখানেই বন্ধ করে দিতো। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্যালুট জানাই,তারা শত নির্যাতনের মধ্যেও ভাষণ বাজিয়েছে। ওরা জাতির পিতার নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারে না, তা প্রমাণ হয়েছে। আজ সারাবিশ্বের প্রমাণ হয়েছে। ৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্বীকৃতি পেয়েছে তা ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে।
আজ বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, যেখানে শিশু পার্ক সেখানে মঞ্চ ছিলো। লাখো লাখো মানুষে ভরপুর ছিলো। আমার সৌভাগ্য ছিলো সেখানে থাকার। সেখানে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর