২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:৪১

শ্রীলংকায় সহিংসতা ঠেকাতে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক: 

শ্রীলংকার টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ সারা দেশে তিন দিন ফেসবুক, ভাইবার ও হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বুধবার তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। শ্রীলংকার বৌদ্ধরা দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমদের মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো পর দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শ্রীলংকার ক্যান্ডি এলাকায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

ক্যাবিনেট মুখপাত্র রাজিত সেনারাত্নে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুকে মুসলিমদের উপর আক্রমণের আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেয়া শুরু হওয়ার পর সরকার ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারীদেরকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্লক করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দেশটির টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের ডিরেক্টর জেনারেল সব গ্রাহককে ফেসবুক, ভাইবার ও হোয়াটস অ্যাপ ৭২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার কথাটি সিদ্ধান্তটি জানাবেন।

জরুরি অবস্থা জারির পরও শ্রীলঙ্কায় মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে মুসলমানদের একটি দোকান ও একটি মসজিদে আগুন দিয়েছে স্থানীয় বৌদ্ধরা। গত কয়েক দিন ধরে বৌদ্ধদের চালানো সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার। কিন্তু তারপরও বৌদ্ধদের হামলা অব্যাহত আছে। কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা প্রকাশ করা হয়।

পার্বত্য শহর ক্যান্ডির পার্শ্ববর্তী গ্রাম মাদাওয়ালার এক অধিবাসী বলেন, তিনি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি দোকান ও একটি মসজিদ পুড়তে দেখেন। এর অল্প সময় পর দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এর আগেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় কারফিউ জারি করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক লোকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই সহিংসতার শুরু হয়। অভিযোগ করা হয়, মুসলমানদের পিটুনিতে ওই লোকের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে অবনতির দিকে না যায় সেজন্য সোমবার পুলিশ কারফিউ জারি করে এবং বেশ কিছু লোককে আটক করা হয়।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে তার অফিশিয়াল টুইটার পেজে বলেন, ‘আমরা একটি ভয়ংকর যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসা জাতি। তাই সকলের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ব্যাপারে আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং সব ধরনের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর এই প্রথম শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হলো।

দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর

 

প্রকাশ :মার্চ ৭, ২০১৮ ৪:৫২ অপরাহ্ণ