নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর দারুস সালাম থানার টোলারবাগের একটি বাড়িতে মরিয়ম বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে টোলারবাগের ৩১২/৪ নম্বর বাড়ির আটতলা ভবনের ৫ম তলার একটি কক্ষে তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত মরিয়ম ঢাকা নার্সিং কলেজের হাউজ কিপার ছিলেন। বাসা থেকে মরিয়মের একটি মোবাইল ফোন সেট ছাড়া আর কিছু খোয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার স্বামী আব্দুল হান্নান নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদফতরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। এই দম্পতির দুই সন্তান মুজাহিদ (২৪) এবং দিয়া (২১) মগবাজারে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করছেন। তবে কারা কী কারণে মরিয়মকে খুন করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
মরিয়মের স্বামী আব্দুল হান্নান জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফিরে দেখেন ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকেই স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। চিৎকার দিলে আশপাশের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, মরিয়ম বেগম বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে অফিস থেকে বাসায় আসেন। তার স্বামী বাসায় প্রবেশ করেন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে। এর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরই তার বাসায় চিৎকারের শব্দ শুনতে পান আশেপাশের বাসিন্দারা। এরপর তিনিসহ আশপাশের লোকজন গিয়ে বাসার ভেতরে মরিয়ম বেগমের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
দারুস সালাম থানার ওসি সেলিমুজ্জামান জানান, বাড়িটির নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। এজন্য সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। তাছাড়া বাড়িতে প্রবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঢিলেঢালা। ওসি বলেন, মরিয়মের কোনো পারিবারিক ঝামেলা ছিল কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। নাকি নিছক বাসায় লুটপাট করতে গিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি