রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নাট্যকর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজউদ্দিন কলা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মো. মঈনুল ইসলামকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মঈনুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হলের আবাসিক ছাত্র। সে রাবির ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন অনুশীলন নাট্যদলের একজন সক্রিয়া কর্মী। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- রাবি ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন, কলা অনুষদের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক ঝলক সরকার।
এর মধ্যে মাহমুদুর রহমান কানন এর আগে সাংবাদিক আরাফাত রহমানকে মারধরের দায়ে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিস্কার হয়েছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সম্প্রতি তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। ভুক্তভোগী মঈনুল অভিযোগ করেন, মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে তারা বেশ কয়েকজন বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ ছাত্রলীগ নেতা কানন ও ঝলক এসে তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বলে।
মইনুলসহ অন্যরা সরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা কানন ও ঝলকসহ ৫/৬ জন মইনুলকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এতে মঈনুলের মাথা ও চোখে গুরুতর আঘাত পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অভিযুক্ত কানন ও ঝলক মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা দাবি করেন- মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মঈনুলের সঙ্গে তাদের বাকবিতন্ডা হয়েছে। পরে সেটি সেখানেই মীমাংসা হয়ে গেছে।
রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় তাৎক্ষণিক কিছু বলতে পারছি না। ক্যাম্পাসে ফিরে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি