বান্দরবন প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে রাচিডং, বুচিডং থেকে আসা বিজিপিসহ মিয়ানমারের কয়েকটি বাহিনীর ৫০ জনের ৩টি গ্রুপ পাহাড়ের ওপরে অবস্থান নিয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে এপারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। রাখাইন শ্রমিকেরা নতুন করে পাহাড়ের ওপর বাংকার খনন করছে। পাশাপাশি গাছের ওপর সিসি ক্যামরার মতো কিছু একটা স্থাপন করা হচ্ছে। শূন্যরেখায় টহল অব্যাহত রয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল ঘুরে প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খানকে উচ্চপদস্থ মিয়ানমারের বিজিপি কর্মকর্তারা পাহাড়ের ওপর অবস্থান করছেন বলে জানালে তিনি বলেন, এটা তাদের রুটিন ওয়ার্ক। বাংকার খননের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি ওরকম না। যে কোনো বাহিনীর সদস্যরা কোথাও অবস্থান নিলে তারা নিরাপত্তার জন্য সব সময় কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। তিনি জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো আছে। শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নেতা আবুল শামা জানান, দিনের বেলায় বিজিপি ও নাটালা বাহিনীর সদস্যরা বাংকারে অবস্থান নেয় এবং রাতের বেলায় সীমান্ত সড়কে টহল দেয়। সোমবার ৩টায় বুচিডং, রাচিডং থেকে আসা বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত সড়ক ঘেঁষা ওপারে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বাইনোকুলার লাগিয়ে এপারের পরিস্থিতি দেখছিল। ওই রোহিঙ্গা নেতা আরো জানান, তারা পাহাড়ের ওপর নতুন করে বাংকার খনন করেছে। গাছে গাছে সিসি ক্যামরার মতো কিছু যেন স্থাপন করতে দেখা গেছে। দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে স্পষ্ট বোঝা যায়নি। তিনি বলেন, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে তারা নতুন কোনো কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের শূন্যরেখার ওপারে সব সময় মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীসহ রাখাইন যুবকেরা ঘুরাঘুরি করে। রাতের বেলায় তারা মদ্যপ অবস্থায় সীমান্ত রেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ঝুপড়িতে নানা কিছু নিক্ষেপ করে। যাতে রোহিঙ্গারা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শূন্যরেখা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তাদের কার্যকলাপের কারণে এপারের গ্রামগুলোতে বসবাসরত লোকজনদের আতঙ্কে থাকতে হয়। তিনি আরো বলেন, তুমব্রু খালে এসময় প্রচুর শাক-সবজি ও বিভিন্ন ফল মূল উত্পাদন করতো স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কিন্তু চলতি মৌসুমে কিছুই করা যায়নি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি