মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ডাহা মিথ্যা কথায় পারদর্শী আওয়ামী লীগ আইনের শাসনের শত্রু। গণতন্ত্র হত্যাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্মদাগ। জনতার মিছিল চারিদিক থেকে নিঃশব্দ পায়ে এগিয়ে আসছে এমন অভিমতও ব্যক্ত করেন রিজভী।
গতকাল রোববার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ মালেক, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
রিজভী বলেন, আমরা সস্পষ্টভাবে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। জনতার মিছিল চারিদিক থেকে নিঃশব্দ পায়ে এগিয়ে আসছে। আওয়ামী একতরফা নির্বাচনের বিজয় মুকুট জনগণ ধুলোয় লুটিয়ে দেবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল নিয়ম-নীতি, নির্বাচনী বিধি-বিধান উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নেমে পড়েছেন। খুলনায়ও প্রধানমন্ত্রী জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন।
রিজভী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে এ বিষয় নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই।
দলের জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব এই নেতা বলেন, জনগণকে ধোঁকা দেয়ার বিদ্যা আওয়ামী লীগ যেভাবে রপ্ত করেছে সেই বিদ্যা মানুষ ধরে ফেলেছে। শেখ হাসিনার উচ্চাভিলাষের কাছে কেউ নতজানু হবে না।
বিএনপির এ নেতা দাবি করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনী মাঠে থাকলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ কঠিন অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী তার হিংসার সাধ মেটাতেই বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আইনকে আওয়ামীকরণ করে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পাঁয়তারা করছে সরকার। বেগম খালেদা জিয়াকে আটকাতে এই অবৈধ সরকার নানামুখী কারসাজিতে লিপ্ত রয়েছে। তবে আমরা আবারও সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই-বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
তিন ফুট উচ্চতার জেল কক্ষে বন্দি আলাল :
বিএনপির নেতারা সরকারের নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা সরকারের নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হচ্ছে, কারাগারের বাইরে-ভেতরে সর্বত্র। অথচ ব্যাংকের টাকা লুটপাটকারীদের জামাই আদরে রেখেছে সরকার।
রিজভী বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কাশিমপুর-৪ হাইসিকিউরিটি জেলের একটি সংকীর্ণ নির্জন কক্ষে আবদ্ধ করে রাখেছে। সেই কক্ষের মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা মাত্র তিন ফুট। তার সেলে কোনও আলো-বাতাস ঢুকতে পারে না। তার কক্ষের নিচতলায় ফাঁসির দুর্র্ধর্ষ আসামিরা থাকে। মূলত হাইসিকিউরিটি কারাগারটি তৈরি করা হয়েছে বিপজ্জনক জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের জন্য। সেখানেই বিএনপির সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের রাখা হচ্ছে। কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে উচ্চশ্রেণীর ডিভিশন কক্ষগুলোতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের টাকা লুটপাটকারীদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ