নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনসভার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আওয়ামী লীগকে বরাদ্দ দেয়ায় বিএনপিকেও তা দিতে হবে। বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আওয়ামী লীগ ৭ মার্চ জনসভা করবে। এরপরে এরশাদ করবেন। আমরা ১২ তারিখ সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। আমাদের অনুমতি দিন। অন্যথায় বুঝবো সরকার এক দেশে দুই আইন চালু করেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন মোশাররফ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপি ধারাবাহিক নানা কর্মসূচি পালন করলেও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পায়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং একুশে বইমেলার কারণ দেখিয়ে এই অনুমতি দেয়া হয়নি। সেই সমাবেশ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি করার অনুমতি চেয়েছে দলটি।
পুলিশ এবার সমাবেশের অনুমতি দেবে আশা করে খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, ‘আমাদের সমাবেশ স্মরণকালের বৃহৎ জনসভা হবে।’
বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে সরকার আগামী নির্বাচন করতে চাইলে অর্ধেক পথেও যেতে পারবে না বলেও সতর্ক করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন মেনে নিবে না।’
বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে রায়ের অনুলিপি পেতে বিলম্বের জন্যও সরকারের সমালোচনা করেন মোশাররফ। বলেন, ‘সরকার নিজেদের ডিজিটাল বলেন। রায়ের সার্টিফাইট কপি পাঁচ দিনের মধ্যে পাওয়ার কথা থাকলেও পেতে লেগেছে ১১ দিন। হাইকোর্ট নথি তলব করার পর ১০ দিন কেটে গেছে। তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নথি আসতে কত সময় লাগে? এতেই বুঝা যায় সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে।’
বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ায় তার ভাবমূর্তি বেড়েছে দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) জনগণের সহানুভুতি পাচ্ছেন, তার প্রতি জনগণ আস্থা রাখছে।’
সরকার তাদের পকেট ভারী করার জন্য গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নাই। শুধু লুটপাট করার জন্যই দাম বাড়ানোর কথা বলছে।’
সমাবেশের আয়োজক সংগঠন ওলামা দলের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ত্র্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ