নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারে সড়কের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় এক ধর্ষিতাকে উদ্ধারকারী প্রতিবেশী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২০ দিন ধরে তারা কারাগারে রয়েছেন। ধর্ষিতা কিশোরী ও তার মা অভিযুক্ত দুই যুবককে নির্দোষ বললেও তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত দুই কিশোর ইমরান ও সোহাগ আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার বাসিন্দা। তারা পরিবারের উপার্জনশীল হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তাদের পরিবার।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে রাসেল নামের এক যুবক জামগড়া এলাকা থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সন্ধ্যার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী এলাকায় অচেতন অবস্থায় কিশোরীকে ফেলে রেখে যায় বখাটেরা। এসময় স্থানীয়রা কিশোরীর সঙ্গে একটি থাকা একটি ভিজিটিং কার্ডের মাধ্যমে বিষয়টি তার প্রতিবেশী ইমরান ও সোহাগকে জানায়। খবর পেয়ে তারা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রাসেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ওই দুই যুবককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিযে কারাগারে পাঠায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মা বলেন, বখাটে রাসেল আগে থেকে কিশোরীকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এনিয়ে তাদের প্রতিবেশী ওই দুই যুবক বেশ কয়েকবার এ নিয়ে প্রতিবাদও করেছে। আর এ কারণে বখাটে ধর্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য জবানবন্দিতে দুই যুবকের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে না দেখেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি ইন্টিলিজেন্স) ওবায়দুর ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দুই যুবকের নাম বলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে তার কিছুই করার নেই।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ