আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সারাবিশ্বে মাদক চোরাচালানের কাজে নানা উপায় অবলম্বন করে থাকে পাচারকারীরা। একারণে তাদের ধরতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এবার মাদক চোরাকারবারিরা শান্তির দূত কবুতরকেও একাজে ব্যবহার করা থেকে থামেনি।
সম্প্রতি ইরাক সীমান্তের কাছ থেকে একটি নিরীহ কবুতরকে আটক করে জর্ডানের শুল্ক কর্মকর্তারা। এসময় পাখিটির পিঠে বাধা ছোট্ট ব্যাগে ১৭৮টি মাদকের বড়ি আবিষ্কার করে তারা। জর্ডনের এক শুল্ককর্তা জানান, ‘মাদক পাচারের কাজে কবুতরকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই খবর আমাদের কাছে ছিল। কিন্তু, এই প্রথম এমন ‘অভিযোগে’ কোনো কবুতর আটক হলো।’ ইরাক সীমান্তের কাছ থেকে আটক হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, ওই অঞ্চল দিয়ে এধরণের কাজ প্রায়ই করা হয়। ফলে ওই সীমান্তে মাদক চোরাচালান করা হচ্ছিলো কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে মাদকদ্রব্য পরিবহন ও গুপ্তচরবৃত্তির কাজে কবুতরকে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ২০১৫ সালে কোস্টারিকায় কোকেন চোরাচালানে কবুতর ব্যবহার করার ঘটনা সামনে এসেছিল। ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে মাস কয়েক আগে গোপন ক্যামেরা লাগানো একটি কবুতরকে আটক করেছিলেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। চরবৃত্তি চালানোর জন্য পাক সেনারা এই কাজ করেছিল বলে সেসময় সন্দেহ করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ