মারুফ শরীফ, দেশজনতা প্রতিবেদক :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দলের চেয়ারপারসনকে জেলে রাখা সরকারের ‘হটকারী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’। আগামী নির্বাচন থেকে নেত্রীকে দূরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেন নজরুল।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ যা করার তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে আছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই সেই নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা খালেদা জিয়ার সঙ্গেই অংশ নেবো এবং জনগণ সে নির্বাচনে বিজয়ী হবে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পর্যন্ত জানে তিনি টাকা মেরে খাননি। খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার লোক না। সরকার অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে জেলে আবদ্ধ করে রেখেছে। ব্যাংকে টাকা যেমন ছিল তেমনি আছে। সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে এখন ছয় কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। তিনি কখনও এই টাকা হস্তগত করেননি।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ১৯৬৯ সালে কোনও নেতা জেলের বাইরে ছিলেন না। তারা প্রত্যেকেই জেলে ছিলেন। তাই বলে কি তারা ৭০ এর নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে নাই?
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘খালেদা জিয়া আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এই অবৈধ সরকার অন্যায়ভাবে তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে আটকে রেখেছে।
দেশে ৫ জানুয়ারির মতো আর কখনোই একতরফা নির্বাচন হবে না হতে দেয়াও হবে না। আমরা চেয়ারপারসনকে নিয়েই, তাঁর নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবো বলেন বরকতউল্লা বুলু।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আবু জাফর, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ