সিরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আরো অন্তত ছয় শ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়াই ওই অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত দখল করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুর্কি-ভাষার দৈনিক ইয়েনি অ্যাকিত এ খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার গণমাধ্যম স্পুটনিক ও ইরানি গণমাধ্যম প্রেস টিভি। খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-তানাফ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সেনা ঘাঁটিতে সম্প্রতি ৬০০ মার্কিন সেনা প্রবেশ করেছে। দুই বছর আগে দামেস্কের অনুমতি ছাড়া ওই সেনা ঘাঁটি নির্মাণ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া বিদেশি মদদপুষ্ট তাকফিরি সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আরবি ভাষার নিউজ ওয়েবসাইট পালমিরা মনিটরও জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে মার্কিন সেনাদের বেশ কিছু ইউনিটকে সাঁজোয়া যানসহ ওই সেনা ঘাঁটিতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এর আগে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তা আলেক্সান্ডার ভেনেদিক্তোভের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নোভোস্তি জানিয়েছিল, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় প্রায় ২০টি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে আমেরিকা।
ভেনেদিক্তোভ বলেন, সিরিয়ায় বিদেশিদের হস্তক্ষেপের কারণে দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কুর্দি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০টি ঘাঁটি নির্মাণ করেছে।
ওয়াশিংটন কুর্দি বিদ্রোহীদের কাছে সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও ওই রুশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান। তিনি আরো বলেন, দামেস্ক সরকারের অনুমতি ছাড়া আল-তানাফ সেনাঘাঁটির আশপাশের ৫৫ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে আমেরিকা।
এ ছাড়া জর্দানে নিযুক্তি রুশ রাষ্ট্রদূত বরিস বোলোতিন বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে জানিয়েছেন, আল-তানাফ এলাকায় মার্কিন সেনারা উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
স্পুটনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র আইএসবিরোধী বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। আর এতে জাতিসংঘেরও কোনো সমর্থন নেই। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিকে সিরিয়া সরকার তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর