১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৫৭

প্রসাধনসামগ্রী থেকে স্বাস্থ্য সমস্যা

লাইফ স্টাইল ডেস্ক:

সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। একজন মানুষকে দেখতে হলে প্রথমেই তাকাই তার মুখের দিকে। সৌন্দর্য প্রকৃতির দান- তবে সেই সৌন্দর্য রক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য অনাদিকাল থেকেই বিশেষ করে মেয়েরা প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে। পরিমিত প্রসাধন যেমন মুখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে, তেমনি অপরিমিত প্রসাধনে সৌন্দর্যের চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। মোটামুটি বিভিন্ন কসমেটিকস মেয়েদের ত্বকে কী ধরনের ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ করা হলো-

ক্রিম
প্রায় প্রতিদিনই বাজারে আসছে নতুন নতুন ক্রিম। ত্বক ফর্সা করা, উজ্জ্বল করার চটকদার বিজ্ঞাপনের মোহে পড়ে এগুলো হরদম ব্যবহারও করেন মেয়েরা। এসব ক্রিম ত্বকের জন্য কতটা উপযোগী তা ভেবে দেখার বিষয়। কেননা, এগুলোতে কী উপাদান রয়েছে তা উল্লেখ করা থাকে না। সান প্রোটেকটিভ ফ্যাক্টর ছাড়া অন্য ক্রিম ত্বককে সূর্যের আলোর ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করতে পারবে না। কিন্তু দীর্ঘ দিন এসব ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ত্বকের ফর্সা কালো হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে শরীরের মেলানোসাইট কোষের ওপর। এই কোষ থেকে নিঃসৃত মেলানিনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে কার রঙ কেমন হবে। এখানে প্রসাধনের কোনো ভূমিকা নেই। তবে সূর্যের আলোর অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের যে বিপুল ক্ষতিসাধন করে, সেই ক্ষতিকে প্রতিহত করতে পারে প্রসাধন। অবশ্যই সেই প্রসাধনটি হতে হবে সান প্রোটেকটিভ ফ্যাক্টরযুক্ত ক্রিম। অন্য কোনো ক্রিম নয়। অন্য ক্রিম সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিকে প্রতিহত করতে পারে না বরং এসব ক্রিম দীর্ঘ দিন ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হয়। অনেকের ফুসকুড়ি দেখা দেয়। কারো ব্রণ, কারো ত্বকে সাদা সাদা দাগ দেখা দেয়।

নেইল পলিশ
নখের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে নেইল পলিশের জুড়ি নেই। তবে নেইল পলিশে সালফোনামাইড ও ফরমালডিহাইড রেজিনের মিশ্রণ ঠিকমতো না থাকলে নখের ক্ষতি হয়। এ জন্য ভালো কোম্পানির নেইল পলিশ ব্যবহার করতে হবে। নেইল পলিশ নখে লাগিয়ে দীর্ঘক্ষণ থাকা উচিত নয়। অনুষ্ঠান থেকে ফিরেই যত দ্রুত সম্ভব রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলা উচিত।

হেয়ার রিমুভিং লোশন
অনেক মেয়ে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম ছেটে ফেলতে হেয়ার রিমুভিং লোশন ব্যবহার করেন। হাত-পায়ে হেয়ার রিমুভিং লোশন ব্যবহার করে অনেকে তাদের হাত-পা লোমমুক্ত করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বা শ্রীবৃদ্ধি ঘটান। হেয়ার রিমুভিং লোশনে থাকে কলিচুন, আর্সেনিয়াম, সালফাইড, মাইয়োগ্লাইকোলিক অ্যাসিডের ক্যালসিয়াম। এসব রাসায়নিক উপাদানে ত্বকের রঙ বিবর্ণ হয়। তাই হেয়ার রিমুভিং লোশন যত্রতত্র ব্যবহার না করে খুব সাবধানে অনেক দিন পরপর ব্যবহার করা ভালো এবং যেকোনো কোম্পানির হেয়ার রিমুভিং না কিনে প্রতিষ্ঠিত ভালো কোম্পানির হেয়ার রিমুভিং লোশন ব্যবহার করতে হবে।

মাসকারা
মেয়েদের চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে মাসকারা অনন্য। মাসকারা ব্যবহারে চোখের পাপড়ি বড় দেখায়। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এতে কার্বনব্ল্যাক, আয়রন অক্সাইড, হালকা সাবান ও ট্রাই ইথোনোলামাইন স্টিয়ারেট থাকে যার ফলে চোখ লাল হয়। চোখে চুলকানি এবং কখনো কখনো ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লিপস্টিক
উন্নয়নশীল বিশ্বে শতকরা ৮৫ জন মহিলাই লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন। একটি লিপস্টিক উন্নতমানের কি না তা নির্ভর করে ওই লিপস্টিকে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে দেয়া হয়েছে কি না। যদি উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে না থাকে, তাহলে ব্যবহারের ফলে ঠোঁটে জ্বালা করা, চুলকানি, ঠোঁট ফাটা বা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। নিম্নমানের লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে অনেকের লিভার ও কিডনির ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। কারো কারো পেটের অসুখও হতে পারে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮ ৪:২০ অপরাহ্ণ