নিজস্ব প্রতিবেদন
অফিসে বসে সুদের ব্যবসা ও সনদ জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সেকশন অফিসার মো. আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম অস্থিতিশীল করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান।
বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সংবলিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা প্রশাসনিক কার্যক্রমকে অস্থিতিশীল করার জন্য বেনামি চিঠি, অফিসে বসে সুদের ব্যবসা, অন্যান্য অসামাজিক কাজ এবং সনদ জালিয়াত চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় ভিসির আদেশে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
প্রশাসনিক ভবন সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে আমিনুলের অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কাগজপত্র জব্দ করা হয়। ওইদিনই তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বাহালুল হক চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘জব্দ করা কাগজের মধ্যে ২৫ লাখ টাকার ব্যাংক লেনদেনের রশিদ, লোন দেয়ার অঙ্গীকারনামা, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ সাতজনের জীবনবৃত্তান্ত, তিনটি মূলকপিসহ কয়েকটি সনদের ফটোকপি রয়েছে। এসব অপকর্মে তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছি।’
অন্য কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে প্রশাসন ‘জিরো টলারেন্স’ ভূমিকায় থাকবে বলে তিনি জানান।
ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনায় যদি অন্য কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
n h-1:04